ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

মৌলিক আইনগুলোর বাংলা পাঠ প্রকাশে হাই কোর্টের কমিটি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৯ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২২ সোমবার

আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহারে মৌলিক আইনগুলোর নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রকাশ করতে কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাই কোর্ট। বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীরের হাই কোর্ট বেঞ্চ আজ এই আদেশ দিয়েছেন।

একইসঙ্গে আদালতে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য মৌলিক আইনগুলোর নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রকাশ প্রশ্নে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুলও জারি করেছেন আদালত।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন এডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। তিনি আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান। তিনি জানান, আইন মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে বাংলা একাডেমি, আইন কমিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন অনুষদ ও বাংলা বিভাগের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে এ অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের জন্য। 

দেওয়ানি, ফৌজদারিসহ দেশের মৌলিক আইনগুলো বাংলায় প্রণয়ন ও পাঠযোগ্য করতে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেন ১০ জন আইনজীবী। রিটকারী আইনজীবীরা হলেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, জোবায়েদুর রহমান, মো. আব্দুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আব্দুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।

রিটে বলা হয়, সংবিধানের ৩ নং অনুচ্ছেদে ‘বাংলা’কে একমাত্র রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। আর এই অনুচ্ছেদের বিধানকে পূর্ণরুপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন প্রণয়ন করা হয়। সে আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী, সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব কার্যাবলী অবশ্যই বাংলায় হতে হবে। এই আইনি বিধান সত্ত্বেও দেশের আদালতের অধিকাংশ রায় ও আদেশ এবং অন্যান্য কার্যাবলী ইংরেজিতে প্রদান করা হয়।

রিটে বলা হয়, আদালতে মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, দন্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন, চুক্তি আইন, তামাদি আইন ও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের মতো মৌলিক আইনগুলোর গুরুত্ব ও ব্যবহার সর্বাধিক। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে এসব আইনের বাংলায় অনুদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যাবশ্যক।- বাসস

এসি