স্বেচ্ছা রক্তদাতারা মানবিক বীর: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৪৯ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২২ সোমবার
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের অভিনন্দন। তারা মানবিক বীর। রক্তদানের মাধ্যমে নীরবে তারা দেশের মানুষের উপকার করে যাচ্ছেন। তাদের ত্যাগের এই মানবিক দিকটা অনেক বড়, অনেক মহত।
সোমবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন গোলাম দস্তগীর গাজী।
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ৩ বার, ১০ বার, ২৫ বার অথবা ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন এমন তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা জানায় স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানটি। এসময় স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের হাতে সনদপত্র, বিশেষ আইডি কার্ড ও সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন পাটমন্ত্রী।
রক্তদাতাদের উৎসাহ দিয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী আরো বলেন, ‘রক্তদান শুরু করাটা একটা অভ্যাসের ব্যাপার। অভ্যাস হয়ে গেলে নিয়মিত রক্তদান মানবিক কাজের চমৎকার একটি মাধ্যম হয়ে যায়। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন বিভিন্ন সেবামূলক কাজের পাশাপাশি রক্তদানের মাধ্যমে সেই প্ল্যাটফর্মই তৈরি করে দিচ্ছে। তারা আসলে দেশের জন্যেই কাজ করে যাচ্ছে। দেশের মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যাচ্ছে। এভাবেই সবার সহযোগিতায় আমাদের দেশ এগিয়ে যাবে।’
অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন নাজিয়া ফারহানা অনন্যা এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়া রোগী রাকিবুল ইসলাম রুশো।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারী। নিয়মিত রক্তদাতাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে দেশের রক্তের চাহিদার ঘাটতি মেটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় আট লক্ষ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে। রক্ত ঘাটতির বিপুল এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। গত দুই দশকের প্রচেষ্টায় ১৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
এসি