ছাত্রী ধর্ষণের অভিযুক্ত শিক্ষক জামিন নিতে গিয়ে ধরা
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:৫০ পিএম, ১৪ মার্চ ২০২২ সোমবার
শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম
ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক তৌহিদুল ইসলাম আদালতে জামিন নিতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি সহোদর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে।
সোমবার রাণীশংকৈল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস রমেশ কুমার ডগার আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করে তৌহিদুল ইসলাম। এসময় আদালতের বিচারক তার আবেদন না-মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ৫ মার্চ তৌহিদুল ইসলামকে আসামি করে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে রাণীশংকৈল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এরপর দুইদিন তৌহিদুল ইসলামের বিচারের দাবিতে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা পৌর শহরে মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে দ্রুত গ্রেফতারসহ কঠোর শাস্তি ও বিচারের দাবিতে ইউএনও এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে।
উল্লেখ্য, তৌহিদুল ইসলাম পৌর শহরের ভান্ডারা মহল্লার ১০ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। ঘটনা জানাজানি হলে ওই শিক্ষার্থীর বাবা তৌহিদুলের কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে গেলে শিক্ষক তহিদুল ইসলাম ১৫ লাখ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে বিয়ে করতে চান। মেয়েটির বাবা এত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন।
এদিকে, এমন ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে স্থানীয় লোকজন গত ৩ মার্চ ওই শিক্ষার্থীকে তৌহিদুলের বাড়িতে রেখে আসেন। ওই শিক্ষার্থী বিয়ের দাবিতে সেই বাড়িতে অবস্থান নিলে তৌহিদুল বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে পরদিন ৪ মার্চ তড়িঘড়ি করে অন্যত্র বিয়ে করেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানায়, তৌহিদুল ইসলাম তার সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ৩ বছরে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। পরে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি তাকে এড়িয়ে চলেন এবং অন্য জায়গায় বিয়ে করেন।
এনএস//