ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২১ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক কুকুর প্রতিযোগিতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:১৬ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

প্রথমবারের মত শুরু হয়েছে সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক কুকুর প্রতিযোগিতা। কুকুর প্রেমিদের জন্য এ যেনো বেশ আন্দেরর খবর। যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত হলো ক্রাফটস ডগ শো। আর এই শো-তে হয়েছে নানা ধরনের কুকুর নিয়ে প্রতিযগিতা। ছয় ফাইনালিস্টকে হারিয়ে এবারের প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছে ব্যাক্সার নামের এক রিট্রিভার।

ছবিতে ছবিতে দেখে নিই এই  ডগ শো-এর কিছু অংশ-

প্রতিযোগিতার এক পর্যায়ে এক আইরিশ সেটার ও তার মালিককে বিশ্রাম নিতে দেখা যাচ্ছে। আইরিশ সেটার এক ধরনের শিকারি কুকুর।


ক্রাফটস ডগ শোতে অংশ নেয়া প্রতিযোগীদের মধ্য ছিল এই ওল্ড ইংলিশ শিপডগও৷ পশুপালকেরা নিজেদের খামারের প্রাণীদের নিরাপত্তা ও নিয়ন্ত্রণের জন্য যে কুকুরগুলো ব্যবহার করতেন, এই ওল্ড ইংলিশ শিপডগ তেমনই এক প্রজাতি৷ ইংল্যান্ডের এই প্রজাতিটি শেফার্ডস ডগ নামেও পরিচিত।


চুলে ঝুঁটি বাঁধা এই কুকুরের প্রজাতির নাম বেয়ার্ডেড কোলি। অনেকে আদর করে এই কুকুরকে বেয়ার্ডি বা দাড়িওয়ালা বলেও ডেকে থাকেন৷ এই কুকুর মূলত স্কটল্যান্ডের পশুপালকেরা ব্যবহার করতেন৷ কিন্তু এখন ঘরের কুকুর হিসাবেও এর জনপ্রিয়তা বেড়েছে।


নামের মধ্যে মালটা থাকলেও ইউরোপের দ্বীপরাষ্ট্র মালটার সঙ্গে এর কোনো ঐতিহাসিক বা বৈজ্ঞানিক সম্পর্ক নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷ ধারণা করা হয় দক্ষিণ-মধ্য ইউরোপের ইশপিৎস কুকুর থেকে এই মাল্টিজ কুকুরের উৎপত্তি হয়েছে৷ ছোটখাট গড়ন এবং লোমশ শরীরের জন্য শিশুদের কাছে খুবই পছন্দের এই কুকুর।


স্ট্যান্ডার্ড প্রজাতির এক কুকুরকে আদর করছেন তার মালিক৷ উচ্চতাই এই কুকুরকে অন্য প্রজাতির পুডল থেকে আলাদা করে। স্ট্যান্ডার্ড পুডলের উচ্চতা ১৮ থেকে ২৪ ইঞ্চি হয়ে থাকে৷ অন্যদিকে ১০ থেকে ১৫ ইঞ্চি উচ্চতার পুডলকে মিনিয়েচার পুডল এবং ১০ ইঞ্চির নীচের পুডলকে টয় পুডল বলা হয়।


এই কুকুর স্ভের্গপিনশার বা মিন পিন নামেও পরিচিত৷ ক্ষুদ্রাকৃতির এই কুকুরের উৎপত্তি জার্মানিতে৷ ধারণা করা হয় জার্মান পিনশার এবং ইটালিয়ান গ্রেহাউন্ড ও ডাখসহুন্ডসের সংকর হয়ে এই কুকুরের উৎপত্তি হয়েছে।


আদুরে এই কুকুর বিশোন প্রজাতির অন্য কুকুরদের মধ্যে সবচেয়ে ছোটগুলোর একটি৷ উচ্চতায় এটি কেবল নয় থেকে ১১ ইঞ্চি হয়ে থাকে৷ আমুদে চরিত্রের জন্য এই কুকুরও শিশুদের খুবই পছন্দের।


টেরিয়ার তো বটেই, সব ধরনের কুকুরদের মধ্যেও ক্ষুদ্রতম প্রজাতির একটি এই ইয়র্কশায়ার টেরিয়ার৷ নাম শুনেই বুঝতে পারছেন যে ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারে এর উৎপত্তি৷ ধারণা করা হয়, উনিশ শতকে নানা প্রজাতির কুকুরের সংকরের ফলে এই প্রজাতির উদ্ভব হয়৷


রিট্রিভার গান ডগের ব্রিটিশ সংকর হচ্ছে এই ল্যাব্রাডর রিট্রিভার৷ একসময়ের ব্রিটিশ উপনিবেশ ক্যানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ডে পাওয়া মাছ ধরা কুকুরের প্রজাতি থেকে সংকরের মাধ্যমে এর উদ্ভব হয়৷ উপনিবেশের ল্যাব্রাডর এলাকার নামানুসারে এর নাম দেয়া হয়।


হাঙ্গেরির এই কুকুর মাগিয়ার ভিশলা নামেও পরিচিত। খেলার সঙ্গী হিসাবে বেশ জনপ্রিয় এই প্রভুভক্ত কুকুর।


খুবই প্রাণচঞ্চল এই কুকুর এক ধরনের গানডগ বা শিকারি কুকুরের প্রজাতি৷ অতীতে শিকারকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া বা শিকার ধরে আনার কাজে একে ব্যবহার করা হতো৷ তবে এখন সঙ্গী কুকুর হিসাবেও এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে
আরএমএ/এমএম