ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১৮ ১৪৩১

হাতিদের সম্মানে ‘পার্টি’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৩:৪৭ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

একসময় রাজা-মহারাজাদের বাহক ছিল হাতি। তাহালে তো সম্মান দিতেই হবে। সেই চিন্তা থেকেই বুঝি থাইল্যান্ডে হাতিদের মহাসমাদর। করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর ধরে সব ধরনের উৎসব আয়োজনই প্রায় বন্ধ। তবে এবারে হাতি দিবস উদযাপন বন্ধ থাকেনি সেখানে। 

চলুন দেখে নেওয়া যাক কী মহাসমারোহে এই দিনে ‘সম্মান’ জানানো হলে হাতিদের-

প্রাচীন কালের মতো এখন আর হাতির পিঠে চড়ে যুদ্ধে যান না থাই যোদ্ধারা৷ যুদ্ধ জয় করে সগর্বে হাতির পিঠে চড়ে ফিরতেও দেখা যায় না তাদের। তবে থাইল্যান্ডে হাতির বিচরণ এখনো প্রায় সর্বব্যাপী৷ সার্কাসে তো হাতি আছেই, ওজন টানা এবং যাত্রী পরিবহণের কাজেও ব্যবহার করা হয় হাতিদের।

থাইল্যান্ডে নানা স্তরে হাতিকে যেভাবে কাজে লাগানো হয় তার বিরোধিতায় দীর্ঘদিন ধরে সোচ্চার পশু অধিকারকর্মীরা। তারা মনে করেন, সার্কাসসহ নানা কাজে হাতির ব্যবহার বন্ধ করা উচিত৷ তাদের দাবি সত্ত্বেও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটিতে অবশ্য হাতিকে কাজে লাগিয়ে জীবিকা নির্বাহের প্রবণতা কমেনি।

করোনা মহামারি শুরুর আগে প্রতি বছর থাইল্যান্ডের বেশ কিছু শহরে পালন করা হতো হাতি দিবস৷ দুই বছর বন্ধ থাকার পর গত রোববার আবার পালিত হলো হাতি দিবস।

করোনা সংকট কাটেনি৷ তাই বিদেশি পর্যটকরা এখনো আসছেন না থাইল্যান্ডে৷ সে কারণে এবার শুধু চোনবুরি প্রদেশের নং নুচ ট্রপিকেল গার্ডেনে করা হয় হাতি দিবসের আয়োজন৷ আট মিটার বড় এক টেবিলে দুই টন ফল ও শাক-সবজি সাজিয়ে সাদরে নিয়ে আসা হয় হাতিদের।

এবারের হাতিদিবসে ৬০টির মতো হাতিকে পেট পুরে খাওয়ানো হয়।

সূত্রঃ ডয়েচে ভেলে
আরএমএ/এমএম