ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

হিলিতে পেঁয়াজ ২০ টাকা, জনমনে স্বস্তি

হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৪:২৪ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

পেঁয়াজের দাম বাড়তে বাড়তে হাফ সেঞ্চুরি পার করার পর দাম কমতে শুরু করেছে। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাড়তে থাকায় বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২০ টাকা থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা দুদিন পুর্বে ২৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। দাম কমায় স্বস্তির কথা জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে,  ইন্দোর, নাসিক, গুজরাট, নগর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে। হিলির খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ভারতীয় পেয়াজ ১৬ থেকে ২০ টাকা আর দেশীয় পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা আগে বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছিল।

ক্রেতা নুরুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজের দাম ৫০ টাকা ছাড়িয়ে গিয়েছিল। এখন অবশ্য দিন দিন দাম কমতে শুরু করেছে। দুদিন আগে যা ২৫-২৬ টাকা নিয়েছি আজ সেই পেঁয়াজ কিনলাম ১৬-১৮ টাকা কেজি দরে। দাম এমন থাকলে সুবিধা হয়। 

বিক্রেতা মনিরুল আলম বলেন, পুর্বে চাহিদা থাকলেও বন্দর দিয়ে আমদানি কম থাকায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে ছিল। এখন বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণে আমদানি হচ্ছে এতে পেঁয়াজের দাম কমতে কমতে নিন্ম পর্যায়ে চলে এসেছে। এছাড়া দেশীয় পেয়াজের দামও পূর্বের তুলনায় কমেছে।

বন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সেলিম হোসেন বলেন, বাজারে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমার কারণে দাম ঊর্ধ্বমুখি হয়। তাই বাজারে সররবাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়িয়েছেন আমদানিকারকরা। এছাড়া নতুন করে পেঁয়াজের ইমপোর্ট পারমিট (আইপি) দেওয়া শুরু করায় ছোটবড় সকল আমদানিকারকরা আমদানি শুরু করেছেন। এতে করে দাম কমতে শুরু করেছে।   

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানির ধারা অব্যাহত রয়েছে। পুর্বে বন্দর দিয়ে গড়ে প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ ট্রাক আমদানি হলেও এখন তা বেড়ে ৩৫ থেকে ৪০ ট্রাক হয়েছে। সোমবার বন্দর দিয়ে ৪১টি ট্রাকে ১ হাজার ১৭৫ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।

যেহেতু পেঁয়াজ কাঁচামাল তাই এটি দ্রুত খালাসের জন্য সবধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানান বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা।

এএইচ/