ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

নাঈমের সেঞ্চুরিতেও হারল আবাহনী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৫:০২ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

শতক হাঁকিয়েই রানে ফিরলেন মোহাম্মদ নাইম শেখ, ছবি- ডিপিএল।

শতক হাঁকিয়েই রানে ফিরলেন মোহাম্মদ নাইম শেখ, ছবি- ডিপিএল।

ব্যাট হাতে সাম্প্রতিক সময়টা মোটেই ভালো যাচ্ছিল না ওপেনার নাঈম শেখের। বিপিএলের বাজে ফর্ম, জাতীয় দলের হয়েও রান করতে না পারার হতাশার মধ্যেই ছিলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। তবে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) প্রথম ম্যাচেই পেয়ে গেলেন কাঙ্ক্ষিত রানের দেখা, হাঁকালেন শতকও।

ক্রমাগত বাজে ফর্মের জন্য জায়গা হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের কোনো দলেই। তাইতো নিজেকে ফেরানোর মঞ্চ হিসেবে তার সামনে ছিল ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। ডিপিএল চলতি মৌসুমের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন এই ওপেনার।

মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নবাগত দল রূপগঞ্জ টাইগার্স ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে আবাহনীর জার্সি গায়ে খেলতে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন নাঈম শেখ। ১১৩ বলে ৯টি চার ও ২টি ছয়ের মারে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছান বাঁহাতি এই ওপেনার।

সেঞ্চুরি করার পর অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি নাঈম। ইনিংসের ৪৬তম ওভারে ফরহাদ রেজার বলে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন ১১৫ রানে। আউট হওয়ার আগে ১৩২ বলের ইনিংসটি সাজান ১০টি চার ও ২ ছয়ের মারে।

তবে নাঈমের শতকের পরও ম্যাচে জয়লাভ করতে পারেনি শক্তিশালী দলটি। আবাহনীর বোলারদের পাত্তা না দিয়ে ৪৮ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নবাগত রূপগঞ্জ টাইগার্স।

২৫৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দারুণ সূচনা পায় রূপগঞ্জ। মিজানুর রহমান ও জাকির হাসানের ব্যাটেই মূলত জয়ের ভিত পায় নবাগত দলটি। আবাহনীর বোলারদের কোনোরকম সুযোগ না দিয়ে দাপটের সঙ্গে উদ্ভোধনী জুটিতে ২৬ ওভারেই তুলে ফেলেন ১৬৬ রান।

তবে মাত্র ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন মিজানুর। কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে আসে ৯৩ রান। তার ৮২ বলের এই ইনিংসে ছিল ১২টি চারের সঙ্গে ৩টি ছক্কার মার। 

মিজানুর না পারলেও ভুল করেননি আএক ওপেনার জাকির হাসান। তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে রাব্বির দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরার আগে সেঞ্চুরি পূরণ করেন এই উইকেটকীপার ব্যাটার। ফেরার আগে জাকির হাসানের উইলো থেকে আসে ১১৭ রান। ১১৬ বলে তার এই ম্যাচজয়ী ইনিংসে ছিল ১৫টি চারের সঙ্গে ২টি ছক্কার মার।

ম্যাচ সেরা জাকির যখন আউট হন, তখন দলের স্কোর জয় থেকে মাত্র ৮ রান দূরে। যে কাজটুকু নির্বিঘ্নেই সারেন অধিনায়ক মার্শাল আইয়ুব ২৩ ও ফজলে মাহমুদ ১০। মাঝে ১১ রান করে তানজিম হসান সাকিবের শিকার হয়ে ফেরেন বাবা অপরাজিথ।

এর আগে অবশ্য টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে আবাহনী। অন্যপ্রান্তে আসা যাওয়ার মিছিল চলতে থাকলেও একপ্রান্ত আগলে রান করে যান নাঈম। দলীয় রানের চাকা সচল রাখার পাশাপাশি তুলে নেন লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি।

নাঈমের ব্যাটে চড়ে রূপগঞ্জের বিপক্ষে ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৫৫ রানের লড়াকু স্কোর দাড় করায় আবাহনী। বাকিদের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস খেলেন সাইফউদ্দিন। অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসাইন করেন ৩৭ রান।

রূপগঞ্জের হয়ে মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ৩টি এবং শারিফুল্লাহ ও ফরহাদ রেজা ২টি করে উইকেট লাভ করেন।

এনএস//