‘ক্ষমতায় গেলে বিএনপির প্রধানমন্ত্রী কে হবে’
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৭:৪৭ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৭:৪৯ পিএম, ১৫ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার
ছবি: পিআইডি
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন? এমন প্রশ্ন রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘রাষ্ট্রপতি যখন আমাদের সবাইকে সংলাপে ডাকলেন। আমরা গেলাম। কিন্তু বিএনপি যায়নি।
তিনি বলেন, তারা আসলে যাবেই-বা কী? তারা ক্ষমতায় গেলে কে তাদের প্রধানমন্ত্রী হবেন? কে নেতৃত্ব দেবেন? একজন হচ্ছেন এতিমের টাকা খেয়ে সাজাপ্রাপ্ত। আরেকজন ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ আরও বিভিন্ন মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পালাতক।’
মঙ্গলবার গণভবনে ১৪ দলীয় জোটের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
ভোজ্য তেলের বিষয়ে দেশ এখন শতকরা ৯০ ভাগ আমদানী নির্ভরশীল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের বিজ্ঞানীরা ষর্ষের কয়েকটি বীজ আবিস্কার করেছেন যার ভাল উৎপাদন হবে। আগামী কয়েক বছরে পিঁয়াজ আর বাইরে থেকে আনতে হবেনা, আমরাই রপ্তানি করতে পারবো। এ ব্যাপারেও বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা জিনিষ যেন আমরা নিজেরা উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটাতে পারি সে রকম একটা অবস্থানে আমাদের যেতে হবে। কারো মুখাপেক্ষী হয়ে যেন থাকতে না হয় সে জন্য আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছি।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম বেড়ে যায় তখন খুব বেশি তো আমাদের কিছু করার থাকে না। এ ক্ষেত্রে কিছুতো কম্প্রোমাইজ করতে হবে। তবে রোজার সময় দ্রব্যমূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সেই সঙ্গে আমরা একটা কাজ করছি, এক কোটি মানুষকে স্পেশাল কার্ড দিয়ে দেবো। সেই কার্ড দিয়ে ন্যায্য মূল্যে তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি জিনিস কিনতে পারবে।
তিনি বলেন, যে ৩৮ লাখ লোককে আমরা টাকা দিচ্ছি, সেটা তো থাকবেই। সেটা ধরে আমরা এক কোটি লোককে এটা দেবো। এছাড়া ৫০ লাখ লোককে একটি কার্ড দেওয়া আছে তা দিয়ে তারা মাত্র ১০ টাকায় চাল কিনতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা আছে। ওই ৫০ লাখ এর সঙ্গে আরও এক কোটি লোককে আমরা বিশেষ কার্ড দেবো; যা দিয়ে তারা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারে।’
সরকারের কাছে যথেষ্ট খাদ্য মজুদ আছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এখনো ১৮ লাখ টন খাদ্য মজুদ আছে আমাদের। সেখানে কোন অসুবিধা নাই।’
ফসল উৎপাদন বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তিনি এ সময় বলেন, কারো এতটুকু জমি যেন অনাবাদী না থাকে, যে যা পারেন সেটাই উৎপাদন করবেন। প্রত্যেকটা এলাকাতেই কিছু না কিছু উৎপাদন হবে। সেটাই আমার লক্ষ্য। তাতে আমাদের যে খাদ্য চাহিদা সেটা যেন পূরণ করতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষকে সুন্দর জীবন দেয়ার জন্য যা যা করার দরকার তাই আমরা করে যাচ্ছি। ’৭৫ পরবর্তী সরকারগুলো জনগণের কল্যাণ চিন্তা না করলেও আমরা চাই তা করতে এবং জনগণের জীবনমানের উত্তোরণ ঘটাতে। যেটা জাতির পিতারও স্বপ্ন ছিল।
এসি