ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

জামিনে বের হয়েই প্রতিবাদকারীকে কুপিয়ে হত্যা

রাজশাহী বিভাগীয় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৯:১৪ এএম, ১৬ মার্চ ২০২২ বুধবার | আপডেট: ০৯:১৫ এএম, ১৬ মার্চ ২০২২ বুধবার

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের তাঁতারপুর গ্রামে মাদক কারবারের প্রতিবাদ করায় শাহবাজ আলী (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর ওই এলাকা থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে স্থানীয় মাদককারবারিরা তার উপর হামলা চালায়। 

নিহত শাহবাজ আলী ওই এলাকার আব্দুল জাব্বার আলীর ছেলে। শাহবাজ পেশায় কৃষক। তিনি শলুয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য সাহাবুর রহমানের কর্মী। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁতারপুর আক্কাসের মোড়ে মোটরসাইকেল রেখে বসেছিলেন শাহবাজ আলী (৫০)। এমন সময় তাঁতারপুর গ্রামের মনোয়ারের ছেলে মাদককারবারি কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একটি দল শাহবাজকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। 

পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। 

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

চারঘাট মডেল থানার ওসি জাহাঙ্গীর আলম জানান, এলাকায় মাদক কারবারের প্রতিবাদ করে আসছিলেন শাহাবাজ আলী। গত ২০-২২ দিন পূর্বে তাঁতারপুর গ্রামের মনোয়ার হোসেনের ছেলে মাদককারবারি কামাল হোসেন ও তার সহোদর কফেলকে মাদকসহ আটক করে র‌্যাব-পুলিশের যৌথ দল। এরপর তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। 

ওসি বলেন, সোমবার মাদক ব্যবসায়ী কামাল হোসেন আদালতের মাধ্যমে জামিনে মুক্ত হয়ে এলাকায় আসে। ওই দিনই দুইভাইকে ধরিয়ে দেয়ার সন্দেহে শাহবাজকে মোবাইল ফোনে হুমকি-ধামকি দেয় কামাল। এর পরের দিন মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে নিহত শাহবাজ নিজ গ্রামের মণ্ডলপাড়া এলাকার আক্কাসের মোড়ে বসে গল্প করার সময় অতর্কিতভাবে পেছন দিক থেকে হামলা চালায় কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ৭-৮ জনের একটি দল। 

এ সময় তারা শাহাবাজকে এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে জখম করে চলে যায়। এতে তার মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি।

৮নং ওয়ার্ড সদস্য সাহাবুর রহমান বলেন, নির্বাচনে দেয়া প্রতিশ্রুতি ও শলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে তাঁতারপুর ও কারিগরপাড়া গ্রাম মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এ কাজে আমাকে সব সময় সহযোগিতা দিয়ে এসেছেন শাহবাজ আলী। এতে এলাকার মাদককারবারি কামাল ও তার ভাই কফেল আমাদের উপর ক্ষুদ্ধ হন। 

তিনি আরও বলেন, প্রায় মাস খানেক আগে এলাকার মাদক কারবারের একটি ভিডিও ভাইরাল হলে র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এর জের ধরে কামাল ও কাফেল দলবল নিয়ে গিয়ে শাহাবাজ আলীর উপর হামলা করে। 

তারা জামিনে বের হয়ে আমাকেও হত্যার হুমকি দিয়েছিল। সাথে সাথে সেটি পুলিশকে জানানো হয়েছিল বলেও জানান এই ইউপি সদস্য।

এএইচ/