অস্থির নির্মাণ সামগ্রির বাজার, বিপাকে আবাসন খাত (ভিডিও)
মেহেদী হাসান
প্রকাশিত : ১২:১১ পিএম, ১৬ মার্চ ২০২২ বুধবার
রড-সিমেন্টের বাজার লাগামহীন। উর্ধ্বমুখী ইট, বালু ও পাথরের দামও। সব মিলে অস্থিরতা চলছে নির্মাণ সামগ্রির বাজারে। এতে বিপাকে আবাসন ব্যবসায়ীরা। স্বস্তিতে নেই ঠিকাদাররাও।
ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে দেশজুড়েই চলছে শোরগোল। তবে পিছিয়ে নেই খাদ্যবহির্ভূত খাতও। রড়, সিমেন্ট, বালুসহ নির্মাণ সামগ্রির বাজারও এখন অস্থির।
আবাসন খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন রিহ্যাব বলছে, এক বছরের কিছু বেশি সময়ে প্রতি টন রডে দাম বেড়েছে ২৪ হাজার টাকা। ৬৪ হাজার টাকা টনের রড এখন বিক্রি হচ্ছে ৮৮ থেকে ৯০ হাজার টাকায়। বড় মূল্যবৃদ্ধি সিমেন্টেও। ভালো মানের প্রতি ব্যাগ সিমেন্টের দাম ছাড়িয়েছে ৪৬০ টাকা। আর ৮ টাকার প্রতি বর্গফুট বালুর দাম উঠেছে ৩০ টাকা। সমানতালে বেড়েছে পাথর ও ইটের দামও।
এসব পণ্য কেনাবেচার সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরে মূল্যবৃদ্ধির হার তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি, যা তারা আগে কখনো দেখেননি।
তারা জানালেন, “১৭০ টাকা ছিল এক সিএফটি পাথর, এখন ২২২ টাকা। আদলা ইট ছিল ১২-১৩ হাজার এখন ১৬ হাজার টাকা এক গাড়ি। এর মধ্যে সিন্ডিকেটের সৃষ্টি হয়েছে, না হলে এত দাম বাড়ার কথা নয়।”
আসাবন খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্মাণ সামগ্রীর দামবৃদ্ধিতে ফ্ল্যাটের মূল্য প্রতি বর্গফুটে বেড়ে যেতে পারে হাজার টাকা। এতে ভোক্তাদের ওপর চাপ বাড়ছে। বিক্রি কমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ব্যবসায়ীরাও।
রিহ্যাব সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, “এইভাবে যদি মূল্য বৃদ্ধি হয় তাহলে এই শিল্পটা স্থবির হতে বাধ্য। এটা আমাদের জন্য একটা অশনিসংকেত। আশা করছি, যথাযথ কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থার মাধ্যমে এই সমস্যা উত্তরণে উদ্যোগ নিবেন।”
নির্মাণ সামগ্রির দাম বেড়ে যাওয়ায় বেশি বিপদে পড়েছেন সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের ঠিকাদারা। কাজ নিয়ে লোকসানের শঙ্কা তাদের।
এসএসআর গ্রুপের চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম দিপু বলেন, “ওয়ার্ক অর্ডার নেয়ার পরে এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে কাজগুলো সম্পন্ন করা যাচ্ছে না। প্রত্যেকটা প্রজেক্টেই একই অবস্থা।”
রড, সিমেন্ট, বালু, পাথরসহ নির্মাণ পণ্যের বাজার না কমলে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা এই ঠিকাদারের।
এই অবস্থায় সরকারের প্রতি পুনঃবিবেচনা এবং সদয় দৃষ্টির দাবি জানান এসএসআর গ্রুপের চেয়ারম্যান রাকিবুল আলম দিপু।
এএইচ/