ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

আরেকটি ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় বাঘিনীরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩০ এএম, ১৮ মার্চ ২০২২ শুক্রবার

উইকেট নেয়ার আনন্দে উল্লসিত বাঘিনীরা

উইকেট নেয়ার আনন্দে উল্লসিত বাঘিনীরা

বিশ্বকাপের মঞ্চে পাকিস্তানকে হারানোর পর এবার আরেকটি ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় বাংলাদেশ নারী দল। শুক্রবার নতুন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে মাঠে নেমেই জাদুকরী বোলিং প্রদর্শনী করল বাঘিনীরা। বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মাত্র ১৪০ রানে বেধে ফেলেছে তারা। যাতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ জিততে জ্যোতিদের করতে হবে ১৪১ রান।

সেই লক্ষ্যে অবশ্য ইতোমধ্যেই অনেকটা এগিয়ে গেছে টাইগ্রেসরা। জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারালেও শারমিন আক্তার ও ফারজানার ২৯ রানের জুটিতে সেই ধাক্কা সামলে নেয় বাংলাদেশ।

এর আগে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের বে ওভালে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। পাকিস্তানকে হারানোর ম্যাচের একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ দল।

সেই ম্যাচের আত্মবিশ্বাস থেকেই আজকের ম্যাচে তারকাসমৃদ্ধ ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইনআপকে শুরু থেকেই চাপে রাখে বাংলাদেশ। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের নবম ওভারে প্রথম উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ডানহাতি পেসার জাহানারা আলমের বলে কট বিহাইন্ড হন ১৭ রান করা নারী ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার দেয়ান্দ্র ডটিন। পাওয়ার প্লে'র ১০ ওভারে ১ উইকেটে মাত্র ৩৪ রান করতে পারে তারা। জাহানারার সঙ্গে দারুণ বোলিং করেন বাঁহাতি পেসার ফারিহা তৃষ্ণাও।

পরবর্তী ৩০ ওভারে ক্যারিবীয় ব্যাটারদের রীতিমতো নাভিশ্বাস তুলে ছাড়েন চার স্পিনার সালমা খাতুন, রুমানা আহমেদ, নাহিদা আক্তার ও ফাহিমা খাতুন। এই ৩০ ওভারে মাত্র ৫৩ রান তুলতেই আরও ৬টি উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ৪০ ওভারে স্কোর দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ৮৭ রান।

অবশ্য সপ্তম উইকেটের পতন ঘটেছিল দলীয় ৭০ রানের মাথায়। ক্যারিবীয় ইনিংসের ৩৬ ওভার শেষে সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ৭২ রান। সেখান থেকে শেষ ১৪ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান করে তারা। যা দলকে এনে দেয় বলার মতো সংগ্রহ।

নবম উইকেট জুটিতে সর্বোচ্চ ৩৬ রান যোগ করেন কারিশমা রামহারাক ও শারমেইন ক্যাম্পবেল। এর আগে অ্যাফি ফ্লেচারকে নিয়ে অষ্টম উইকেটেও ৩২ রানের জুটি গড়েন ক্যাম্পবেল। কারিশমা ৭ ও অ্যাফি করেন ১৭ রান।

আসরে নিজের দ্বিতীয় ফিফটিতে ১০৭ বলে ৫৩ রান করে অপরাজিত থাকেন ক্যাম্পবেল। তার ব্যাটে ভর করেই হিলি ম্যাথুজ (১৮), রাশাদা উইলিয়ামস (৪), স্টেফানি টেলর (৪), চেডন ন্যাশনদের (৬) ব্যর্থতা ছাপিয়ে ওই পুঁজি পায় ক্যারিবীয়রা।

বাংলাদেশের পক্ষে বল হাতে ডানহাতি সালমা ও বাঁহাতি নাহিদা নিজেদের প্রথম ছয় ওভারে তিনটি করে মেডেন তুলে নেন, রান খরচ করেন সমান ১২ এবং উইকেটও নেন সমান ২টি করে। শুধু তাই নয়, শেষ পর্যন্ত। দুজনেরই বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ১০-৩-২৩-২!

এছাড়া জাহানারা, রুমানা ও রিতু মনি নিয়েছেন একটি করে উইকেট। ফারিহা (৬ ওভারে ২২) ও ফাহিমা (৮ ওভারে ১৯) উইকেট না পেলেও করেছেন নিয়ন্ত্রিত বোলিং। যার ফলে বিশ্বমঞ্চে এখন আরেকটি ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় নিগার সুলতানা বাহিনী।

এনএস//