স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্তদের নতুন তালিকায় নেই আমির হামজা
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪৫ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২২ শুক্রবার
আলোচনা-সমালোচনার মুখে স্বাধীনতা পুরস্কারের তালিকা থেকে প্রয়াত মো. আমির হামজার নাম বাদ দিয়ে নতুন তালিকা প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আরেকটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানানো হয়।
নতুন বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ৯ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ক্ষেত্রসহ পুরস্কারপ্রাপ্তদের নামের তালিকাও প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও এক প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দেয় সরকার। সেখানে সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আমির হামজার নাম আসে। এবার সেই নাম নেই।
পুরস্কার ঘোষণার পরই আমির হামজার নাম নিয়ে নানা বিতর্ক শুরু হয়। নাগরিক মহলে অচেনা আমির হামজার নাম দেখে অনেকে বিস্ময় প্রকাশ করেন। পরে খবর নিয়ে ‘বাঘের থাবা’, ‘পৃথিবীর মানচিত্রে একটি মুজিব তুমি’ ও ‘একুশের পাঁচালি’ নামে তার তিনটি বইয়ের সন্ধান পাওয়া যায়।
এরপর বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আমিরা হামজার বিষয়ে আসা অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পর্যালোচনার পর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার সুযোগও রয়েছে বলে জানান তিনি।
আমির হামজার জন্মস্থান মাগুরায়। সেখানে তাকে ‘চারণ কবি’ হিসেবে চিনতেন অনেকে। তিনি গানের আসরে বসে গান লিখতেন সঙ্গে সুরও করতেন।
এছাড়া বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে আসে, ১৯৭৮ সালে একটি খুনের মামলার প্রধান আসামি ছিলেন আমির হামজা। বিচারিক আদালতের রায়ে ওই মামলায় তার যাবজ্জীবন সাজা হলেও পরবর্তীতে ‘রাজনৈতিক বিবেচনায়’ সাধারণ ক্ষমাও পান তিনি।
আমির হামজার ছেলে আসাদুজ্জামান সরকারি কর্মকর্তা। খুলনা জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে আছেন তিনি।
২০১৯ সালে মারা যাওয়া আমির হামজাকে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি কর্মকর্তা ছেলের তৎপরতার কথাও আসে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
এমএম/