ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

পঞ্চাশতম অর্ধশতক করলেন সাকিব 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৩২ পিএম, ১৮ মার্চ ২০২২ শুক্রবার

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে অবশেষে বড় ইনিংসের দেখা পেলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের পঞ্চাশতম অর্ধশতক। এর আগে ব্যাট হাতে ছন্দহীন সাকিব আল হাসান ওয়ানডেতে সর্বশেষ অর্ধশত করেছিলেন ২০২১ সালের জুলাই মাসে। 

এই দিন শুরুতে সতর্কভাবে ব্যাট চালালেও তার ব্যাটে ভর করেই রানের চাকাও ছুটেছে দ্রুতগতিতে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ওপেনার তামিম-লিটনের শুরুটা ছিল অসাধারণ। দুজনে মিলে রেকর্ড জুটি গড়েছেন সেখানে। ৯৫ রানের  অসাধারণ এই জুটি ভেঙেছে তামিম ইকবালের বিদায়ে। অধিনায়কের ফেরার পর ফিফটি করে বিদায় নেন লিটন দাস।

অতীতে ফিরে তাকালে বাংলাদেশের জন্য এই কন্ডিশন কখনোই সুখকর ছিল না। ওপেনিং জুটিটিও ছিল ৪৬ রানের। ২০০৮ সালে সেটি করেছিলেন তামিম-ইমরুল। কিন্তু এবারের সফরের প্রথম ওয়ানডেতে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের শুরুটা ছিল সতর্ক ভঙ্গিতে। সময় গড়াতে গড়াতে হাত খোলা শুরু করেন তারা। বিশেষ করে কেশব মহারাজের ১৯তম ওভারেই পর পর তিন বলে একটি ছক্কা ও দুটি বাউন্ডারি মেরেছেন লিটন দাস। একটা সময় পঞ্চম ফিফটিও তুলে নেন তিনি। এর আগে ২২তম ওভারে আন্দিলে ফেলুকাওর বলে এলবিডাব্লিউতে ফেরেন তামিম। শর্ট লেন্থের বল নিচু হয়ে গিয়েছিল। তামিম পুল করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েছেন। অনফিল্ড আম্পায়ার আঙুল তুললেও তামিম রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু রিভিউতেও সুখবর পেলেন না। বাংলাদেশ অধিনায়ক ৬৭ বলে ফেরেন ৪১ রানে।


তামিমের ফেরার পর লিটন দাসও থিতু হতে পারেননি। ব্যক্তিগত ৫০ রানে তাকে বোল্ড করেছেন বামহাতি স্পিনার কেশব মহারাজ। লিটনের ৬৭ বলের ইনিংসে ছিল ৫টি চার ও ১টি ছয়। এই মহারাজই ছন্দ পতন ঘটান ইনিংসে। আগে-ভাগে স্লগ সুইপ করতে গিয়েছিলেন মুশফিক। ফলাফল অভিজ্ঞ ব্যাটার মিলারের হাতে তালুবন্দী হয়েছেন ৯ রানে।

তার পরই ইয়াসিরকে সঙ্গে নিয়ে ইনিংসে ছন্দ ফেরান সাকিব। তুলে নিয়েছেন ফিফটিও। সাকিব মেরে খেলার চেষ্টা করলেও ইয়াসির ধরে খেলছেন। এই ইনিংস খেলার পথে বেশ কয়েকবার জীবনও পান তিনি।    

অবশ্য লিটন-তামিম ফেরার আগে ওপেনিং জুটি তো বটেই, সার্বিকভাবেও দক্ষিণ আফ্রিকায় সর্বোচ্চ ৯৫ রানের জুটি উপহার দিয়েছেন। আগের সর্বোচ্চ জুটিটি ছিল ৯৩ রানের। ২০১৭ সালে তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েস মিলে এই জুটিটি করেছিলেন। 

অথচ টস হেরে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ছিল পুরোপুরি বিপরীত। লুঙ্গি এনগিদির প্রথম ওভার মেডেন দেন তামিম। কাগিসো রাবাদার প্রথম ৫ বলেও রান আসেনি। অর্থাৎ, প্রথম ১১ বলে রানশূন্য বাংলাদেশ। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন তামিম-লিটন।

এমএম/