২০ মার্চ ১৯৭১: হত্যার নীলনকশা অনুমোদন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:২৭ এএম, ২০ মার্চ ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৮:৩১ এএম, ২০ মার্চ ২০২২ রবিবার
একাত্তরের এই দিনে পাকিস্তানের সামরিক জান্তা বাঙালির স্বাধীকারের আন্দোলন দমনের নীলনকশা বাস্তবায়নের অনুমোদন দেয়।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর তৎকালীন মেজর সিদ্দীক সালিকের বইয়ে বলা হয়েছে, ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া তার সামরিক উপদেষ্টা জেনারেল হামিদ খান, পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রশাসক টিক্কা খান, জেনারেল পীরজাদাসহ পদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করেন।
বৈঠকে তিনি সামরিক প্রস্তুতি পর্যালোচনার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বৈঠক ব্যর্থ হলে করণীয় বিষয়ে আলোচনা এবং ‘অপারেশন সার্চলাইট’ অনুমোদন করা হয়।
মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে প্রতিদিনই পিআইএর একাধিক ফ্লাইটে করে সৈন্য ও রসদ ঢাকায় আনা হচ্ছিল। কয়েকটি জাহাজ পূর্ণ করে সৈন্য ও অস্ত্রশস্ত্র আনা হচ্ছিল চট্টগ্রাম বন্দরে।
এদিন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ এক বিবৃতিতে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে সামরিক বাহিনী ও অস্ত্রশস্ত্র বোঝাই বিমান চলাচল বন্ধের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানায়।
ওইদিন সকালে রমনার প্রেসিডেন্ট ভবনে বঙ্গবন্ধু এবং ইয়াহিয়ার চতুর্থ দফা বৈঠক হয়।
বৈঠকে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, এম মনসুর আলী, খন্দকার মোশতাক আহমদ ও কামাল হোসেনও উপস্থিত ছিলেন।
সোয়া দুই ঘণ্টার বৈঠক শেষে বঙ্গবন্ধু সাংবাদিকদের বলেন, “আলোচনায় কিছু অগ্রগতি হয়েছে। সময় এলে অবশ্যই আমি সবকিছু বলব।”
রাতে এক বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধু বলেন, মুক্তি অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সংগ্রাম চলবে।
অসহযোগ আন্দোলনের এই পর্যায়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সাবেক নৌসেনাদের সমাবেশে বঙ্গবন্ধু ঘোষিত মুক্তি সংগ্রামের প্রতি সংহতি প্রকাশ করা হয়। স্বাধীনতা সংগ্রামে সহযোগিতার জন্য একটি সম্মিলিত মুক্তিবাহিনী কমান্ড গঠনে সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক বাঙালি সৈনিকদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
এদিনও একের পর এক শোভাযাত্রা ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে যায়। সমবেত জনতার উদ্দেশে একাধিক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, মুক্তিপাগল সাড়ে সাত কোটি বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়কে পৃথিবীর কোনো শক্তিই রুখতে পারবে না।
করাচিতে পিপিপি নেতা জুলফিকার আলী ভুট্টো জানান, তিনি প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে ঢাকা যাচ্ছেন।
সুপ্রিম কোর্টের প্রখ্যাত আইনজীবী ও আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম কৌঁসুলি এ কে ব্রোহি এদিন সকালে করাচি থেকে ঢাকায় আসেন।
এসবি/