ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় (ভিডিও)

তৌহিদুর রহমান, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:২৯ এএম, ২০ মার্চ ২০২২ রবিবার | আপডেট: ১১:২৯ এএম, ২০ মার্চ ২০২২ রবিবার

সর্বত্র পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। দুর্গম পাহাড়, দ্বীপ, কিংবা চরাঞ্চল; শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। ঘরে ঘরে জ্বলছে আলো। ১৩ বছরে গ্রাহক বেড়েছে সোয়া তিন কোটি। উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি প্রায় ২২ হাজার মেগাওয়াট।

একের পর এক চালু হচ্ছে বিদ্যুৎ কেন্দ্র। আলোকিত হচ্ছে নতুন নতুন জনপদ। ২০০৯ সালে মাত্র ৪৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিল। আর এখন পাচ্ছেন শতভাগ।

দুর্গম পাহাড়, চরাঞ্চল কিংবা দ্বীপ এলাকা; সর্বত্রই পৌঁছে গেছে বিদ্যুৎ। সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে দ্বীপ ও চরাঞ্চলেও বিদ্যুৎ। বাদ যায়নি দুর্গম পাহাড়। এতে শহরের পাশাপাশি চাঙ্গা হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি। 

অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেন, “গ্রামীণ অর্থনীতিতে ছোট ছোট যে শিল্পগুলো, ক্ষুদ্র উদ্যোগ যেগুলো কুটিরশিল্প সেই জায়গায় একটি বড় ভূমিকা রাখছে বিদ্যুৎ। এর মাধ্যমে গ্রামীণ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি। গ্রাম থেকে মানুষের শহরে আসার প্রবণতাকে নিরুৎসাহিত করা, অর্থাৎ গ্রামে থেকেই মানুষ তার কর্মসংস্থান করতে পারে, সেখানে কিন্তু এর ভূমিকা আছে।”

বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্য বলছে, গেল ১৩ বছরে ৩ কোটি ১৫ লাখ নতুন গ্রাহক পেয়েছে দেশের বিদ্যুৎ খাত। গ্রাহকের সংখ্যা এখন ৪ কোটি ২৫ লাখের বেশি। সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫৩ শতাংশ। 

গেল একযুগে উৎপাদন-ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় ২২ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২৬ হাজার মেগাওয়াটের বেশি। 

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম বলেন, “২০১২ সাল থেকে লোডশেডিং মোটামুটি একটা সহনীয় পর্যায়ে এবং পরবর্তীতে অনেক বছর লোডশেডিং হয় নাই। গত দু’তিন বছর ধরে খুব ভাল ব্যবস্থাপনা হচ্ছে। এ ব্যাপারে কোন সন্দেহ নাই যে বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বেড়েছে এবং লোডশেডিং বলতে আমরা ভয়াবহ অভিজ্ঞতা অতীতে যে দেখেছি, সেটা থেকে মানুষ মুক্তি পেয়েছে।”

তবে এই ঈর্ষণীয় সাফল্য খুব সহজেই ধরা দেয়নি। নিতে হয়েছে অনেক সাহসী সিদ্ধান্ত।

অধ্যাপক ড. ম তামিম আরও বলেন, “২০০৫-২০০৬ সাল থেকে যে ব্যাপকহারে লোডশেডিং হচ্ছিল সেটা কিন্তু রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট দিয়েই মেকাপ করা হয়েছে। কেননা দ্রুত বড় ধরনের কোন বিদ্যুৎ কেন্দ্র আনা সম্ভব ছিল না। সেই কারণেই কিন্তু তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রথম রেন্টাল ব্যবস্থার মধ্যে যায়। তার প্রেক্ষিতেই পরবর্তীতে ২০১০ সাল থেকে বর্তমান সরকার রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্ট দেওয়া শুরু করে।”

২০৩০ সালে ৪০ হাজার ও ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় সরকার। 

এএইচ/