ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ভারতে দুর্ঘটনায় আহত সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৪:৩৮ পিএম, ২০ মার্চ ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৪:৪২ পিএম, ২০ মার্চ ২০২২ রবিবার

সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দীন বেশ কয়েক বছর ধরেই গুরুতর অসুস্থ। তার দুটি কিডনিই ৯০ ভাগ কার্যক্ষমতা হারিয়েছে। কিডনি জটিলতার কারণে আরও নানাধরনের সমস্যায় ভুগছেন এই শিল্পী। আর এ কারণে গত ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ভারতের চেন্নাইয়ে সপরিবারে গিয়েছেন তিনি। আর সেখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন আলিফের স্বামী গিটারিস্ট কাজী ফয়সাল আহমেদ।

শনিবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাতে তিনি এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ১০ মার্চ ডায়ালাইসিসের পর ফেরার পথে হাসপাতালের নিচে পড়ে গিয়ে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন আলিফ।

ফয়সাল লেখেন, ‘‘ডায়ালাইসিস শেষ করে হাসপাতালের নিচেই গেটের সামনে অপেক্ষা করছিলাম ট্যাক্সির জন্য। আলিফ আমার পাশেই ছিল। হঠাৎ বিকট চিৎকার দিলো সে। আমি ঘুরে দেখলাম, আলিফ হাতের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই মুহূর্তে খেয়াল করলাম, তার সামনের স্টিলের গ্রিলে সে মাথায় আঘাত পাবে। আমি আমার হাত দিয়ে সেটা ঠেকাতে পারলাম ঠিকই, কিন্তু ও পড়ে গেল রেলিংয়ের চিকন গ্রিলের ওপর। চোখ ও কপালে আঘাত পেলো। 

এরপর থেকে ওর সেন্স নেই। আমার সামনে পড়ে আছে আর কাঁপছে। চোখ উপরের দিকে, মুখ বাঁকা হয়ে আছে, হাতের কনুইতে ব্যথা পেয়েছে। তখন কিছুক্ষণের জন্য আমার মনে হয়েছিলো, তার জান বের হয়ে গেছে শরীর থেকে। হাসপাতালের গার্ড চিৎকার করে স্ট্রেচারের ব্যবস্থা করে নিয়ে যায় ইমার্জেন্সিতে।’’

‘‘তারপরের ঘটনা ও আলিফের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ফয়সাল আরও বলেন, ‘‘সেন্স আসার পর সেই মুহূর্তে আলিফ কিছুই মনে করতে পারেনি কখন পড়েছে, কখন নিচে গেছে আমার সাথে! ডায়ালাইসিসের সময় ব্লাড থিনার দেওয়া হয়। তার জন্য ব্যথা পাওয়া জায়গাগুলোতে রক্ত এসে ফুলে গেছে। তারপর আলিফের তিন দিন কেটেছে আইসিইউতে। 

‘‘সিটিস্ক্যান, এমআরআই, ইইজি, ইকো ও ইসিজি টেস্ট করানো হয়েছে। বর্তমানে চক্ষু বিশেষজ্ঞ দেখছেন। ইরোলজিস্ট, নিউরোলজিস্ট ও নেফ্রোলজিস্ট- সবাই একটা করে রিপোর্ট চেক করছেন আর জানাচ্ছেন পরবর্তী পদক্ষেপ। ডাক্তারদের পরিপূর্ণ চেষ্টায় আলিফ এখন সেই অবস্থা থেকে অনেকটাই ভালো। তবে এখনও অনেক জটিলতা আছে। আগামী তিন মাস ওষুধ খেয়ে আবার সব টেস্ট করে ডাক্তারকে দেখাতে যেতে হবে।’’

তিনি জানান, বর্তমানে সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস, দুইটা করে ইঞ্জেকশন আর ওষুধ চলছে আলিফের।

এমএম/