আফিফ-মিরাজে দুইশ ছোঁয়া স্কোর বাংলাদেশের
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৫:৪২ পিএম, ২০ মার্চ ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৫:৫২ পিএম, ২০ মার্চ ২০২২ রবিবার
আফগানদের বিপক্ষেও মান বাঁচান আফিফ-মিরাজ জুটি
দলের অন্যরা প্রোটিয়া পেসারদের সামনে যেখানে একের পর এক খাবি খাচ্ছিলেন, সেখানে শুরু থেকেই সাবলীল ব্যাটিং করতে থাকেন আফিফ হোসাইন। সাত নম্বরে নেমে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে ফিফটিও। সেইসঙ্গে রিয়াদের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ার পর মিরাজকে নিয়ে যোগ করেন ৮৬ রান। এই দুটি জুটিতেই মূলত দুইশ ছোঁয়া স্কোর পায় বাংলাদেশ।
মাসখানেক আগেই অবশ্য এমনই একটা পরিস্থিতিতে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি হাঁকিয়েছিলেন আফিফ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেই ম্যাচে মাত্র ২৮ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর উইকেটে এসে ক্যারিয়ার সেরা ৯৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। সেদিনও তিনি যোগ্য সঙ্গী হিসেবে পেয়েছিলেন মিরাজকে।
আজও সেই আফিফ-মিরাজ জুটিতেই মান বাঁচে টাইগারদের। এদিন অবশ্য মাত্র ৩৪ রানেই পতন ঘটে পঞ্চম উইকেটের। সেখান থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর একে দৃষ্টিনন্দন শটে দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন আফিফ হোসাইন। যে পথে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়ার পর পুরনো পার্টনার মিরাজের সঙ্গে যোগ করেন ৮৬টি মূল্যবান রান।
ইনিংসের ১৩তম ওভারে উইকেটে আসার পর মুখোমুখি তৃতীয় বলেই প্রথম বাউন্ডারি হাঁকান আফিফ। কাগিসো রাবাদার করা সেই ওভারে দুটি চার মারেন তিনি। পরে টেম্বা বাভুমা, তাবরাইজ শামসি কিংবা কেশভ মহারাজদেরও উইকেট থেকে সুবিধা আদায় করে নিতে দেননি এ বাঁহাতি ব্যাটার।
ইনিংসের ৩৫তম ওভারে লুঙ্গি এনগিডির বলে চার মেরে পৌঁছে যান ৪৮ রানে। পরের ওভারে মহারাজের বলে দৃষ্টিনন্দন শটে হাঁকান আরেক বাউন্ডারি। অবশ্য সেই ওভারের প্রথম বলে এক রান নিয়েই পূরণ হয় আফিফের দ্বিতীয় ফিফটি। পঞ্চাশে পৌঁছাতে ৭৯টি বল খেলেন তিনি। যেখানে ছিল ৭টি চারের মার।
আরও ২৮টি বল মোকাবেলা করে আরও ২টি চার মেরে শেষ পর্যন্ত ৭২ রানেই আউট হন টাইগার এই তরুণ ব্যাটার। এক বল পরেই আউট হওয়া মিরাজের ব্যাট থেকে আসে একটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৯ বল থেকে ৩৮ রান। যাতে ১৮১ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
১০ ওভারে ৩৯ রান দিয়ে একাই ৫টি উইকেট তুলে নেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। এছাড়া এনগিদি, শামসি, পারনেল ও ডুসেন একটি করে উইকেট তুলে নিলে শেষমেশ ৯ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান জড়ো করতে সামর্থ হয় বাংলাদেশ।
তবে স্বাগতিক ফিল্ডাররা যদি ওই ৩/৪টা ক্যাচ মিস না করতেন তাহলে হয়তো আরও কমে রানে গুটিয়ে যেত তামিম ইকবালের দল।
এনএস//