ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

ফরিদপুরে ১২ বাসে আগুন, চ্যাঞ্চল্যকর রহস্য উদঘাটন

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:২৭ পিএম, ২১ মার্চ ২০২২ সোমবার

প্রেস ব্রিফিংয়ে ফরিদপুর পুলিশ

প্রেস ব্রিফিংয়ে ফরিদপুর পুলিশ

ফরিদপুরে চ্যাঞ্চল্যকর দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার অন্যতম আসামি দুই ভাই বরকত ও রুবেলের মালিকানাধীন ১২টি বাসে আগুন দেবার ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। সোমবার বিকালে ফরিদপুর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনার রহস্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ফরিদপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, অর্থপাচার মামলায় সিআইডির জব্দকৃত ১২টি বাসে গত ১২ মার্চ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় দুবৃর্ত্তরা। এ ঘটনায় পুলিশের তরফ থেকে ব্যাপক অনুসন্ধান চালানো হয়। 

সোমবার সকালে বাস পোড়ানোর মামলায় সন্দেহভাজন তিন আসামিকে শহরের গোয়ালচামট থেকে গ্রেফতার করা হয় বলেও জানান তিনি। গ্রেফতারকৃতরা হল- জহুরুল ইসলাম জনি, পারভেজ মৃধা ও মোহাম্মদ আলী। আসামিরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বাস পোড়ানোর কথা স্বীকার করেছে। 

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, অর্থ পাচার মামলায় জব্দকৃত বাসগুলোর ইন্স্যুরেন্সের ক্ষতিপূরণ ও ব্যাংক লোনের দায় থেকে অব্যাহতি পেতে একটি পক্ষ আটককৃতদের দিয়ে বাসে আগুন দেবার ঘটনা ঘটায়। আটককৃত আসামিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

তিনি বলেন, ডিএমপির কাফরুল থানায় অর্থ পাচার মামলায় জব্দকৃত মোট ২২টি বাসের ১২টিতে আজ্ঞাতনামা আসামিরা অগ্নিসংযোগ করে ক্ষতিসাধন করে। এ ঘটনায় কোতয়ালী থানার পরিদর্শক আব্দুল গাফফার বাদী হয়ে একটা মামলা দায়ের করেন। কোতয়ালী থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আসামি জহুরুল ইসলাম জনি, পারভেজ মৃধা ও মোহাম্মদ আলীকে আজ (সোমবার) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গ্রেফতার করা হয়।

জামাল পাশা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জহুরুল ইসলাম জনি এবং মোহাম্মদ আলী ঘটনার সাথে সক্রিয়ভাবে জড়িত মর্মে বাসে আগুন দেয়ার কথা স্বীকার করেছে।

তিনি এসময় দাবি করে বলেন, এই মামলার তদন্ত এবং জিজ্ঞাসাবাদ থেকে জানা যায় যে, এই বাসগুলো পোড়ানোর মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ বাবদ ইনস্যুরেন্সের টাকা পাওয়া এবং ব্যাংক লোনের দায় থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ফরিদপুরের গোয়ালচামট বিদ্যুৎ অফিসের সামনে একটি সেডে জব্দকৃত ১২টি বাস রাখা ছিল। এ বাসগুলোর মালিক দুই হাজার কোটি টাকা পাচার মামলার অন্যতম আসামি সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেল।

এনএস//