ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ রোগের লক্ষণ? 

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ২২ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:১৩ পিএম, ২২ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

এই উপমহাদেশে অনিয়মিত জীবন যাপনের ফলে ডায়াবেটিসের প্রকোপ খুব বেশি। যার কারণে বয়স ৩০ পার হতে না হতেই অসংখ্য মানুষ আক্রান্ত হন ডায়াবেটিসে। সমীক্ষা বলছে, ভারতে প্রতি বছর প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এগুলো ছাড়াও চিকিৎসকরা বলছেন, দুর্গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাসেও ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে।

শরীরে ডায়াবেটিস বাসা বাঁধলে প্রথম অবস্থাতেই তা টের পাওয়া যায় না। যে কোনও অসুখের ক্ষেত্রে যত আগে রোগের উপস্থিতি জানা যায় ততই ভাল। এতে অগ্রীম সতর্কতা নেওয়া যায়।

ডা়য়াবেটিসের ক্ষেত্রে ঘন ঘন প্রস্রাব পাওয়া, পানি খাওয়ার পরেও জিভ তেষ্টায় শুকিয়ে আসা, চোখে ঝাপসা দেখা,ওজন হ্রাস, মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতার মতো কিছু উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায়। 

রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি থাকলে মুখের চারপাশের অংশে তার প্রভাব পড়ে। ডায়াবেটিসের প্রভাবে কিডনি, হৃদযন্ত্র, শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সঠিক জীবনযাপন, খাওয়াদাওয়ায় বিধিনিষেধ, নিয়ম করে শরীরচর্চা করার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকলেও রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সবার প্রথমে প্রস্রাব এবং দাঁতের পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।

নিশ্বাস থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার সমস্যাকে চিকিৎসা পরিভাষায় বলা হয় ‘হ্যালিটোসিস’। যদি রক্তে শর্করার মাত্রা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ হয় এবং তার সঙ্গে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

চিকিৎসকরা বলছেন, ডায়াবেটিক রোগীদের ক্ষেত্রে এই নিশ্বাস দুর্গন্ধজনিত সমস্যা, দাঁতের বিভিন্ন সমস্যা, প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এই সমস্যাগুলোকে ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস’-ও বলা হয়ে থাকে।

রক্তে ইনসুলিনের অভাবে ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিসের সৃষ্টি হয়। ইনসুলিনের ঘাটতির কারণে শরীর শর্করা বিপাকের মাধ্যমে শক্তি উৎপন্ন করতে পারে না। ফলে শরীরে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিডের মাধ্যমে শক্তি উৎপাদন করা শুরু করে।

ফলশ্রুতি হিসাবে শরীরে ‘কিটোন ব়ডি’ তৈরি হয়। রক্তে শর্করার মাত্রা ২৫০ থেকে ৩০০-র বেশি হলে হলে এই ধরনের সমস্যাগুলি জন্ম নেয়।

শরীরে কিটোন আছে কি না তা জানতে রোগীর প্রস্রাব পরীক্ষা করাতে হয়। এই ‘হ্যালিটোসিস’ এবং ‘ডায়াবেটিক কিটোঅ্যাসিডোসিস’ ডায়াবেটিক আক্রান্ত রোগীদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক হয়ে উঠতে পারে।

সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন 

আরএমএ