ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৭ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধ: খালেক মণ্ডলের মামলা রায়ের অপেক্ষায়

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:০০ এএম, ২৪ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার

একাত্তরের যুদ্ধাপরাধের মামলায় সাতক্ষীরার জামায়াত নেতা সাবেক এমপি আব্দুল খালেক মণ্ডল ও খান রোকনুজ্জামানের রায় ঘোষণা করবেন ট্রাইব্যুনাল।

বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার এ মামলার রায় ঘোষণা করবেন।

এর আগে গত ২২ মার্চ রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করা হয়। ওই দিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মোখলেসুর রহমান বাদল ও রেজিয়া সুলতানা চমন। আসামিদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুস সুবহান তরফদার ও গাজী এম এইচ তামিম।

গত বছরের ১১ নভেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আব্দুল খালেক মণ্ডলসহ দুই জনের মামলার শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান রাখা হয়।

২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিল সূচনা বক্তব্য এবং সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে এ মামলার বিচার শুরু হয়।

জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৯ মার্চ এ মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হয়। মামলায় তখন চার জন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে খালেক মণ্ডল কারাবন্দি। বাকি দুই জন মারা গেছেন। খান রোকনুজ্জামান এখনও পলাতক।

আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। যার মধ্যে ছয় জনকে হত্যা, দুই জনকে ধর্ষণ, ১৪ জনকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

২০১৫ সালের ১৬ জুন ভোরে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার খলিলনগর মহিলা মাদরাসায় নাশকতার উদ্দেশ্যে কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে গোপন বৈঠকের অভিযোগে আব্দুল খালেক মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ২৫ আগস্ট খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরায় দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি মামলার মধ্যে শহীদ মোস্তফা গাজী হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় ট্রাইব্যুনাল।

শিমুলবাড়িয়া গ্রামের রুস্তম আলীসহ পাঁচ জনকে হত্যার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২ জুলাই খালেক মণ্ডলের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন শহীদ রুস্তম আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম গাজী।

এ মামলার চার আসামির বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে জব্দ তালিকার সাক্ষীসহ মোট ৬০ জনকে সাক্ষী করা হয়।
এসএ/