ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

৭ম এডওয়ার্ডের স্ত্রীর নামে আলেকজান্ডার ক্যাসেল

প্রকাশিত : ০১:০৯ পিএম, ১ জুলাই ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৯:৩৫ এএম, ২ জুলাই ২০১৭ রবিবার

লোহার কুঠি যার অন্য নাম আলেকজান্ডার ক্যাসেল। তৎকালীন ভারতের সম্রাট ৭ম এডওয়ার্ডের স্ত্রী সম্রাজ্ঞী আলেকজান্দ্রার নামে এই দ্বিতল কারুকার্যময় কুঠির নামকরণ করা হয় আলেকজান্ডার ক্যাসেল। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার জমিদার সূর্যকান্ত আচার্য চৌধুরীর বাগানবাড়ি শশীলজে নির্মাণ করা হয় এই কুঠিবাড়িটি।
১৮৭৯ সালে মুক্তাগাছার জমিদার সুর্যকান্ত আচার্য্য চৌধুরী তার বাগানবাড়ি শশীলজে নির্মাণ করেন লোহাকুঠি। যার নাম দেয়া হয় আলেকজান্ডার ক্যাসেল। সেই সময়ে লোহারকুঠির দ্বিতল ভবনের সিলিং অভ্র ও চুমকি ব্যবহার করে এটিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত করা হয়।
জমিদারি আমল বিলুপ্ত হওয়ার পর ১৯৪৯ সালে বাগানবাড়িটিতে শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ চালু করা হয়। এরপর থেকেই লোহাকুঠি কলেজের লাইব্রেরী হিসেবে ব্যবহৃত হয়। লোহাকুঠির চারপাশে ছিল বেশ কয়েকটি নারীর ভাস্কর্য। এখনও ভাঙ্গা অবস্থায় দু’টি ভাস্কর্য স্মৃতিবহন করছে।
কবি সাহিত্যিকরা জানান, কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাশিয়ার যুবরাজ থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের বিশিষ্টজনরা এই লোহাকুঠিতে অবস্থান করেছেন।
তবে সংস্কার আর সংরক্ষণের অভাবে লোহাকুঠি এখন ধ্বংসের পথে। এতে হওয়ায় হতাশ শিক্ষাবিদরা।

বাগানবাড়িটিতে এখনও জমিদার আমলের সাক্ষী বহন করে চলছে নান্দনিক কারুকার্যময় দুটি ফোয়ারা। এছাড়া রয়েছে দীর্ঘ কৃত্রিম হ্রদ। যা দেখতে আজও ভীড় করেন দর্শনার্থীরা।