ওয়ার্ক অর্ডারে আটকে আছে জাবির ঝুঁকিপূর্ণ মসজিদের কাজ
জাবি প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১১:২৩ এএম, ২৪ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৬:৫৩ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আ ফ ম কামালউদ্দিন হল ও শহীদ সালাম-বরকত হল সংলগ্ন মসজিদটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায়। ভেঙে পুনঃনির্মাণের কথা থাকলেও প্রকল্প অফিস থেকে ওয়ার্ক অর্ডার না দেওয়ায় আটকে আছে মসজিদের কাজ।
১৯৯০ সালে নির্মাণ হওয়ার পর এ পর্যন্ত পাঁচ বার সংস্কার করা হয় মসজিদটি। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে মসজিদটি একবারও সংস্কার করা হয়নি। শিক্ষার্থীরা সংস্কারের দাবি তুললে নেওয়া হয়েছিল প্রাথমিক উদ্যোগ। কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবে রূপ পায়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, মসজিদের প্রায় সব দেয়ালে বড় আকারের ফাটল ধরেছে। প্রতিনিয়ত ছাদ ও দেয়ালের আস্তরণ খসে খসে পড়ছে, অযুখানার দেয়াল ভেঙে গেছে মাঝ বরাবর।
ছাদ থেকে ভেঙে পড়া আস্তরণে আঘাত পেয়ে আহত পর্যন্ত হয়েছেন শিক্ষার্থী।
এর আগে শিক্ষার্থীরা মসজিদটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়ে একাধিক বার আবেদন ও মানববন্ধন করলেও মেলেনি সুফল। সর্বশেষ ২৫ ডিসেম্বরের মানববন্ধনে মসজিদের দায়িত্বে থাকা শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আলী আজম তালুকদার জানুয়ারির শেষে দ্বিতল বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে জানালেও এখন পর্যন্ত কাজ শুরু হয়নি।
জানা যায়, নতুন মসজিদ নির্মাণের জন্যে শহীদ সালাম বরকত হল মেরামতের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত বাজেট থেকে ১ কোটি ও আ ফ ম কামালউদ্দিন হল মেরামতের বাজেট থেকে ২০ লাখ টাকা নিয়ে মোট ১ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ই-টেন্ডারের মাধ্যমে মসজিদ নির্মাণের কাজ পাস হলেও প্রকল্প অফিস থেকে ওয়ার্ক অর্ডার দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা অতি শীঘ্রই মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করার চেষ্টা করছি। উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নানাবিধ কাজের চাপ থাকায় আমরা মসজিদের কাজ শুরু করতে পারি নি। তবে এপ্রিল মাসের মধ্যে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।’
শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আলী আজম তালুকদার বলেন, ‘ ১৪ এপ্রিলের মধ্যে মসজিদ ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হবে। তাই নামাজ পড়ার জন্যে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মসজিদের পেছনে শেড নির্মাণ করা হচ্ছে।’
হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘এই ঝুঁকিপূর্ণ মসজিদে প্রতিদিন দুই হলের শত শত ছেলেরা নামাজ পড়ে। প্রতিনিয়ত ভয়ের মধ্যে থাকি কখন মসজিদটি আমাদের মাথায় ভেঙে পড়ে। বিষয়টি একাধিকবার জানানো সত্ত্বেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি, এটা খুবই হতাশাজনক।’
এএইচ/