ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪,   পৌষ ৯ ১৪৩১

বাসস্টপে নেই ছাউনি, দূর্ভোগে যাত্রীরা

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার | আপডেট: ০৩:৪৯ পিএম, ২৪ মার্চ ২০২২ বৃহস্পতিবার

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই অংশে যাত্রা পথে গুরুত্বপূর্ণ স্টপে নেই কোন যাত্রী ছাউনি। যার ফলে বৃষ্টিতে ভিজে ও রোদে পুড়ে যাত্রীবাহী গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। এ কারণে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মহাসড়কে যাতায়াতকারীদের।
 
জানা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরবাজার, মস্তাননগর বিশ্বরোড, ঠাকুরদিঘি, মিঠাছরা বাজার, মিরসরাই সদর, বড়তাকিয়া, নিজামপুর ও বড়দারোগারহাট বাজার রয়েছে। 

এই ৮টি গুরুত্বপূর্ণ বড় বাজারের সবগুলোতে রয়েছে বাস স্টপেজ। এর একটিতেও নেই কোন যাত্রী ছাউনি। 

এই মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা বলছেন, মহাসড়কটি ২ লেইনে থাকার সময়  স্থায়ীভাবে যাত্রী ছাউনি করা হলেও চার লেইনে উন্নীত করণের পর আর যাত্রী ছাউনী করা হয়নি। 

মিরসরাই পৌর বাজার, বড়তাকিয়া বাজারে লোহার এঙ্গেল দিয়ে ২টি যাত্রী ছাউনি  স্থাপন করা হলেও বর্তমানে সেগুলো মাইক্রো স্ট্যান্ড ও রিক্সা স্ট্যান্ড হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের তদারকির অভাবে তা যাত্রীদের কোন কাজে আসছে না। 

এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত হাজার হাজার শিক্ষার্থীদের গাড়ীর জন্য মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।

এ’বিষয়ে মিরসরাই বাজারের ব্যবসায়ী কামাল উদ্দিন বলেন, “ব্যবসার কাজে মালামাল ক্রয়ের জন্য আমি বারইয়ারহাট পৌর বাজারে প্রায় সময় যাতায়াত করি। মহাসড়কে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত কোন যাত্রী ছাউনি না থাকায় অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়ে। অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ী পাওয়া যায় না।“

মহাসড়কে যাত্রী ছাউনির পাশাপাশি শৌচাগার  স্থাপন করার দাবীও জানান এই ব্যবসায়ী। 

মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিনহাজুর রহমান বলেন, “মহাসড়কের গুরুত্বর্পূণ স্টপিজগুলোতে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করবো।“

মিরসরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন বলেন, “আমি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে যে সব গুরুত্বপূর্ণ  স্থানে যাত্রী ছাউনি নেই তা নির্মাণের প্রস্তাব রাখবো।“

আরএমএ