নীলাদ্রি লেকের হাতছানি, ঘুরে আসুন (ভিডিও)
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:২৪ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ০৩:৩৪ পিএম, ২৫ মার্চ ২০২২ শুক্রবার
শহুরে যান্ত্রিকতায় হাঁপিয়ে ওঠা মন মাঝেমধ্যেই পেতে চায় ভ্রমণের সান্নিধ্য। মাসান্তে দুয়েকদিনের ছুটি পেলে তো কথাই নেই, ছোট খাটো ট্যুর দেওয়াই যায়। কিন্তু মাত্র দু’দিনের ছুটিতে কোথায় যাবেন? অল্প সময়ের ছুটি কাটাতে দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ছোট ছোট পর্যটন এলাকা মন্দ নয়। এমনই একটি মনোরম ঘোরার জায়গা নিলাদ্রী লেক।
একপাশে ভারতের মেঘালয় সীমান্ত, অপর পাশে ছোট বড় টিলা আর লেকের নীলাভ পানি।
নীলাভ পানির কারণেই নাম তার নীলাদ্রি। যেখানে পুরোটা না হলেও কিছুটা পাবেন কাশ্মীরের অনুভূতি। লেকের নামটি যেমন সুন্দর, তার রূপও তেমনই মোহময়।
অনেকেই সুনামগঞ্জের টাংগুয়ার হাওর দেখতে যান। কিন্তু এর খুব কাছেই যে নীলাদ্রি লেকের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, তা হয়তো অনেকেরই অজানা।
লেকটি প্রকৃতপক্ষে জেলার টেকেরঘাট চুনাপাথরের পরিত্যক্ত খনির লাইমস্টোন লেক। অর্থাৎ লেকটি এক সময় চুনা পাথরের ভান্ডার ছিল, যা এখন বিলীন।
এখনও স্থানীয় লোকজনের কাছে শহীদ সিরাজ লেক নামেই পরিচিত এটি। তবে ভ্রমণ কমিউনিটিতে পরিচিতি পেয়েছে নীলাদ্রি নামে।
কীভাবে যাবেন?
রুট-১: ঢাকা থেকে শ্যামলী/মামুন/এনা এবং আরো কিছু বাস যায় সুনামগঞ্জে, যেকোনো একটিতে উঠে পড়ুন, ভাড়া পড়বে জনপ্রতি ৫৫০ টাকা।
সুনামগঞ্জ থেকে নতুন ব্রিজ পার হয়ে মোটর সাইকেল নিয়ে যেতে হবে। চাইলে টেকেরঘাট পর্যন্ত সরাসরি মোটর সাইকেল রিজার্ভ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে ভাড়া ৩০০-৫০০ টাকা নিতে পারে। মাঝপথে যাদুকাটা নদী পার হতে জনপ্রতি পাঁচ টাকা আর মোটর সাইকেলের জন্য ২০ টাকা করে দিতে হবে।
এছাড়া সুনামগঞ্জ থেকে লাউয়ের গড় পর্যন্ত মোটর সাইকেলে করে যেতে পারেন; ভাড়া ২০০ টাকা। তারপর যাদুকাটা নদী পার হয়ে বারিক্কা টিলা থেকে ১২০ টাকা ভাড়ায় মোটর সাইকেলে টেকেরঘাট যেতে পারবেন।
রুট-২: ঢাকা থেকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ ইন্টারসিটি ট্রেন; নাম হাওর এক্সপ্রেস। ঢাকা থেকে ছাড়ার সময় রাত ১১টা। ভাড়া ২০০ টাকার মধ্যে, সকালে মোহনগঞ্জ পৌঁছাবে।
সেখান থেকে এক ঘন্টার রাস্তা মধ্যনগর, পিচ ঢালা রাস্তা। সেখান থেকে বর্ষাকালে নৌকা, ট্রলার বা স্পিডবোট দিয়ে খুব সহজে যাওয়া যায় গন্তব্যে। আর নেত্রকোণা থেকেও সরাসরি নৌকা বা ট্রলারে যাওয়া যায়।
কোথায় থাকবেন?
বারিক্কা টিলা পার হয়েই বড়ছড়া বাজার। এখানে কিছু রেস্ট এবং গেস্ট হাউজ আছে। সেখানে একজন অনায়াসে ২০০-৪০০ টাকায় এক রাত থাকতে পারবেন।
চাইলে টেকেরঘাট থেকে হেঁটেও আসতে পারবেন বড়ছড়া বাজারে, মেঠোপথ ধরে হাঁটতে ভালোই লাগবে।
এছাড়াও লেকের পাশে বন্ধ হয়ে যাওয়া একটি চুনা পাথরের কারখানা আছে; তার গেস্ট হাউজে থাকতে পারবেন যদি খালি থাকে।
এসবি/