স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দিলো নোবিপ্রবি
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১০:০২ পিএম, ২৬ মার্চ ২০২২ শনিবার
যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস-২০২২ উদযাপন করা হয়েছে। এতে নোবিপ্রবিতে কর্মরত শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের পরিবারের জীবিত ২১ জন বীরমুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আজ শনিবার (২৬ মার্চ) সকাল ৯টায় দিনের প্রথমভাগে নোবিপ্রবি পরিবারে সকল শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অংশগ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বরে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্যের সামনে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম।
এরপর স্বাধীনতা দিবসের বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শেষ হয়। শহিদ মিনারে প্রথমে নোবিপ্রবির উপাচার্য শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। পরে নোবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদ, ইনস্টিটিউট, হল, বিভাগ, শিক্ষক সমিতি ও অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারীবৃন্দ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
পরে মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পাঠের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এসময় আলোচনা সভা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য নোবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম বলেন, বাঙালির দীর্ঘ আন্দোলন- সংগ্রামের ফসল আজকের এই স্বাধীনতা। যা অনেক ত্যাগের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। আমাদের সবাইকে এই স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে হবে। পাকিস্তানিদের মাধ্যমে আমরা নানাভাবে নিষ্পেষিত হয়েছি, ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে হবে। নতুন প্রজন্মের প্রতি আহবান থাকবে তারা যেন দেশটাকে ভালোবাসে। বঙ্গকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সামনে এগিয়ে যাবে মহান স্বাধীনতা দিবসে এই প্রত্যাশা করছি। আজ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আমরা সম্মানিত করলাম। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
এসময় অন্যদের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন নোবিপ্রবির উপ-উপাচার্য ও জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবদুল বাকী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফারুক উদ্দিন, নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ারুল বাশার, সমাজবিজ্ঞান ও মানবিক অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. দিব্যদ্যুতি সরকার, আইআইএস পরিচালক ড. ফিরোজ আহমেদ, ভাষা শহিদ আবদুস সালাম হলের প্রভোস্ট ড. মো. আনিসুজ্জামান রিমন।
রেজিস্ট্রার (অ.দা) মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, অফিসার্স এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেজবা উদ্দিন পলাশ, কর্মচারীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন আবদুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন নোবিপ্রবির বিভিন্ন অনুষদসমূহের ডিন, ইনস্টিটিউটসমূহের পরিচালক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যানবৃন্দ, হলের প্রভোস্টবৃন্দ, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ, অফিসার্স এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ এবং ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক বিপ্লব মল্লিক।
উল্লেখ্য, ২৫ মার্চ কালরাত্রি স্মরণে রাত ৯.০১ মিনিটে নোবিপ্রবি কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও নিষ্প্রদীপকরণ কর্মসূচি পালন করা হয়।
কেআই//