ওজন ঝরাবে যে তিন পানীয়
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৩:০৭ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২২ রবিবার | আপডেট: ০৩:১৬ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২২ রবিবার
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস আর অলসতা ছাড়াও বিভিন্ন কারণে বেড়ে যায় ওজন। একবার বেড়ে গেলে দেখা দেয় নানা ধরণের সমস্যা। একবার বেড়ে গেলে ওজন কমানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া হয়ে যায়। নিয়মিত শরীরচর্চা,পরিমিত খাওয়াদাওয়ার পরও ওজন কমানো কঠিন হয়ে ওঠে।
রোগা হওয়ার এই দীর্ঘ পর্বে অনেকেই ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলেন। তবে পুষ্টিবিদরা বলছেন, পানি খেয়ে কমিয়ে ফেলতে পারেন ওজন। পানি শরীরের জমে থাকা মেদ ঝরানোর অন্যতম অস্ত্র হতে পারে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক পানি ছাড়া আর কোন কোন পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে-
পানি কম খাওয়ার অভ্যাস কেবল ওজন নিয়ন্ত্রণে বাধা দেয় তা নয়। শারীরিক ক্রিয়াকলাপেও বিঘ্ন ঘটায়। এক জন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের প্রতি দিন ২-৩ লিটার পানি খাওয়া প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি শরীরে জমে থাকা চর্বি গলাতে সাহায্য করে। দৈনিক নির্দিষ্ট হারে পানি খেলে ওজন তো নিয়ন্ত্রণে থাকেই। এ ছাড়াও অন্যান্য শারীরিক সমস্যারও সমাধান হয়। থাইরয়েড, কি়ডনি, হৃদরোগ, লিভার সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগে থাকলে আরও বেশি করে পামি পান করা প্রয়োজন।
সারা দিনে কাজের ফাঁকে অনেকেই ঘন ঘন চুমুক দেয় কফির কাপে। কফি খেয়েও রোগা থাকতে চাইলে তাতে মেশাতে পারেন দারুচিনি। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণেও সমান উপকারী দারুচিনি। অ্যান্টিইনফ্লেমটরি এবং অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান সমৃদ্ধ দারুচিনি ওজন কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এক চামচ দারুচিনিতে ১.৬ গ্রাম ফাইবার থাকে। ফাইবার শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
গ্রিন টি তে খুবই অল্প পরিমাণ ক্যাফিন থাকে। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতে ক্যাফিন অত্যন্ত কার্যকর। এ ছাড়াও এতে ‘ক্যাটেচিন’ নামক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে যা বিপাক ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক থাকলে ওজন কমানোও সহজ হয়ে যায়।
অন্যদিকে, ওজন কমাতে মানতে হবে বেশ কিছু নিষেধও। এক সমীক্ষা বলছে, নিয়মিত মদ্যপানের ফলে ওজন বেশি হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বেশি থাকে। এমনকি যাদের ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি,তাদের মদ্যপানের কারণে মোটা হওয়ার ঝুঁকি আরও ৩৫ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
সূত্রঃ আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ/এমএম/