ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

মায়ার্স তোপে উড়ে গেল ইংল্যান্ড

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১০:০০ পিএম, ২৭ মার্চ ২০২২ রবিবার

১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে উচ্ছ্বসিত দুই ওপেনার

১০ উইকেটের জয় তুলে নিয়ে উচ্ছ্বসিত দুই ওপেনার

মিডিয়াম পেসার কাইল মায়ার্সের বোলিং তোপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় দিন শেষেই গ্রেনাডা টেস্ট জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে মাত্র ১৮ রানেই ৫টি উইকেট তুলে নেন মায়ার্স। যার ফলে চতুর্থ দিনেই ১০ উইকেটের বড় জয় তুলে নিল ক্যারিবীয়রা।

প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের করা ২০৪ রানের জবাবে ২৯৭ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এতে প্রথম ইনিংস থেকে ৯৩ রানের লিড পায় ক্যারিবীয়রা। প্রথম ইনিংসে ওই রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে এক মায়ার্স তোপে মহা বিপদেই পড়ে সফরকারী দল। ১০১ রান তুলতেই ৮টি উইকেট হারানো ইংলিশরা গুটিয়ে যায় মাত্র ১২০ রানেই।

এর আগে তৃতীয় দিনে ৮ উইকেটে ২৩২ রান করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। জসুয়া ডা সিলভা ৫৪ ও কেমার রোচ ২৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। রোচ ২৫ রানে থামলেও, জেইডেন সিলসকে নিয়ে শেষ উইকেটে ৫২ রান যোগ করেন সিলভা। এতে ১৩ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান সিলভা। 

শেষ ব্যাটার হিসেবে সিলেস ১৩ রানে আউট হলে শেষ হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস। ২৫৭ বলে ১০টি চারে ১০০ রানে অপরাজিত থাকেন সিলভা। ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ৩টি, ক্রেইগ ওভারটন-সাকিব মাহমুদ-বেন স্টোকস ২টি করে উইকেট নেন।

পরে প্রথম ইনিংসে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বিপদে পড়ে ইংল্যান্ড। মায়ার্সের তোপে ৩৯ রানেই ৪ উইকেট এবং ১০১ রানে ৮ম উইকেট হারায় তারা। 

প্রথম ইনিংসেও এমন ব্যাটিং বিপর্যয় ঘটেছিল ইংল্যান্ডের। ১১৪ রানে ৯ উইকেটের পতন ঘটে তখন। তবে শেষ উইকেটে ৯০ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডকে বড় লজ্জার হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন জ্যাক লিচ ও সাকিব মাহমুদ।

দ্বিতীয় ইনিংসেও ইংল্যান্ডকে রক্ষা করার সুযোগ ছিল লিচ ও সাকিবের সামনে। ছিলেন ওকসও। তবে ৫০ বল খেলে আউট হয়েছেন মাত্র ১৯ রান করে। আর তাকে সঙ্গ দেয়া জ্যাক লিচ আউট হন ৪ রান করে, ৫৫টি বল খেলে। মাত্র ৬টি বল স্থায়ী সাকিব ফেরেন ৩ রানেই। 

যার ফলে সবকটি উইকেট হারিয়ে রুটের দলের লীড দাঁড়ায় মাত্র ২৭ রান। যা ২৯টি বল খেলেই টপকে যান ক্যারিবীয় দুই ওপেনার। অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাথওয়েট ২০ রানে এবং জন ক্যাম্পবেল ৬ রানে অপরাজিত থাকেন। তবে ম্যাচ সেরা হন প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি হাঁকানো জশুয়া ডা সিলভা। 

এই ইনিংসে ইংল্যান্ডের পক্ষে ওপেনার অ্যালেক্স লিস ৩১ ও জনি বেয়ারস্টো ২২ রান করেছেন। এছাড়া ওকস ছাড়া আর কেউই দু’অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি।

কাইল মায়ার্স ১৬ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৫টি উইকেট নেন। ১০ ম্যাচের টেস্টে এই প্রথম পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নিলেন এই ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। এছাড়া কেমার রোচ ২টি এবং সিলস ও জোসেফ ১টি করে উইকেট নেন।

এদিকে প্রথম দুটি ম্যাচ ড্র হওয়ায় এই জয়ে ১-০ ব্যবধানেই সিরিজ জয় করল উইন্ডিজ। যেখানে ৮৫ গড়ে ৩৪১ রান করে সিরিজ সেরা হন স্বাগতিক দলপতি ক্রেইগ ব্রাথওয়েট। এর আগে পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টিতেও ৩-২ ব্যবধানে হার মানে ইংল্যান্ড।

এনএস//