ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

লোকশিল্পীদের পদচারণায় মুখর ধামাইল উৎসব (ভিডিও)

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ২৮ মার্চ ২০২২ সোমবার

সিলেটের সুনামগঞ্জে অনুষ্ঠিত হলো দুদিনব্যাপী ধামাইল উৎসব। ধামাইল গানের রচয়িতা প্রতাপ রঞ্জন দাস স্মরণে প্রথমবারের মতো আয়োজন করা হয় এই লোকউৎসব। হাজারো ভক্ত ও লোকশিল্পীর পদচারণায় মুখর ছিল পুরো আয়োজন। 

বাঁশিরে তুই রাই রাই বলে কারে ডাকিবে রাই মরিলে, মালা গাঁথিয়া সূতায় মজিল দিব কার গলে; কত মায়ের কান্নায় ভাসালে ভূবণ, যার মরেছে পুত্র-কন্যা সে করে রোধন; আমি জলে ভাসলাম তোমারও লাগিয়ারে শ্যাম কালিয়া- এমন অসংখ্য কালজয়ী ধামাইল গানের রচয়িতা কবি প্রতাপ রঞ্জন দাস তালুকদার। তাঁর স্মরণে অনুষ্ঠিত হলো দুদিনব্যাপী লোকউৎসব।

রোববার ধামাইল উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে কবির বাড়ির সামনে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

রাধারমণ দত্তকে এই গানের স্রষ্টা বলা হয়। তবে প্রতাপ রঞ্জন তালুকদারের ধামাইল গানও হাওরাঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয়। তাঁর রচিত ধামাইল গান ‘প্রতাপ-বান্ধা’ হিসেবেই বেশি পরিচিত।

প্রথমবারের মতো আয়োজিত ধামাইল গানের উৎসব হাজারো ভক্তের পদচারণায় ছিল মুখর। সুনামগঞ্জ, সিলেট, হবিগঞ্জ ও নবীগঞ্জের লোক গবেষক ও লোকশিল্পীসহ প্রতাপ ভক্তরা উৎসবে অংশ নেন।  

কবির ভক্তবৃন্দরা বলেন, “বাংলাদেশে ধামাইল গানের সম্রাট হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেছেন। তিনি প্রায় ৮২৬টি গান রচনা করেন। ওনার মত একজন গুণিব্যক্তি প্রচারের অভাবে আজ প্রায় বিলুপ্তির পথে।”

শান্তিগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম বলেন, “আমাদের এলাকার কবি, সোনামৌঞ্জ রাস্তাটা যাতে ওনার নামে হয় এই দাবি এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে।”

১৯৪৫ সালের ১৮ জানুয়ারি টাইলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কবি প্রতাপ রঞ্জন দাস। আর ২০০৯ সালের ৯ অক্টোবর পরলোক গমন করেন তিনি। 

এএইচ/