ডাকাতি শেষে পাস্তা ও ডিমভাজা রান্না করে খেল দুষ্কৃতীকারীরা!
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১২:৫৯ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার
বাড়িতে ঢুকে গৃহকর্তার পায়ে গুলি করে ডাকাতি করল একদল দুষ্কৃতীকারী। এরপর রান্নাঘরে ঢুকে পাস্তা, ডিমভাজা করে খেল তারা। রোববার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে কলকাতার হাওড়ার শ্যামপুরের বানেশ্বরপুরের গুড়েপোল এলাকায়।
রক্তাক্ত অবস্থায় ডাকাতদের ভয়ে ঘণ্টাখানেক ঘরের মধ্যে পড়ে রইলেন গৃহকর্তা। পরে ডাকাতদল চলে গেলে জখম ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইটের গাঁথুনি ও টালির চালের বাড়ি সুকুমার গায়েনের। মাঠের মাঝখানে তার বাড়ি। তার বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে অন্যান্য প্রতিবেশীদের বাড়ি।
রোববার রাতে সুকুমার, তার স্ত্রী, বছর দশেকের মেয়ে ও বছর চারেকের ছেলে বাড়িতে ছিলেন। অভিযোগ, রাত দু’টো নাগাদ তারা ঘরের দরজায় কয়েকজনের লাথির আওয়াজ পান।
বাইরে থেকে তারা হুমকি দিতে থাকে। ভয়ে দরজা খুলে দেন গৃহকর্তা। আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দু’জন মুখে কাপড় ঢাকা আততায়ী হুড়মুড়িয়ে ঘরের ভিতরে ঢুকে যায়। বাড়িতে যা আছে তা দিয়ে দিতে বলে। আলমারির চাবিও দেওয়ার দাবি জানায়। তবে গৃহকর্তা তা দিতে চাননি। তাই আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় আততায়ারী। ভয়ে তারা সব কিছু দিয়ে দেয়।
এরপর দুষ্কৃতীকারীরা এক রাউন্ড গুলি চালায়। সুকুমারের চার বছরের ছেলের গলায় থাকা একটি ২ ভরি রুপোর হার ছিনিয়ে নেয়।
সুকুমারের বাড়ির পাশেই বাস তার শাশুড়ি কল্পনা হান্দোলের বাড়ি। সুকুমারকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়িতেও যায় ডাকাতেরা। দরজা খুলে ভিতরে ঢোকে। তাকেও আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। একটি বাক্সের চাবি দিতে বলে। সুকুমার বাধা দিলে তার বাঁ পায়ে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পায়ের পাশে গুলি লাগে। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে। ভয়ে ওই মহিলাও চাবি দিয়ে দেন। সোনার গয়না পায় ডাকাতেরা। আরও একবার গুলি চালায় ডাকাতেরা। এরপর ওই বাড়ির সদস্যদের একটি ঘরে আটকেও দেয় দুষ্কৃতীকারীরা।
এরপর ডাকাতদল বাড়ির রান্নাঘরে ঢোকে। ডিম ভাজে এবং পাস্তা রান্না করে খাওয়াদাওয়াও করে। এরপর তারা পালিয়ে গেলে কোনওক্রমে সুকুমারের শাশুড়ি কল্পনা ঘরের শিকল খুলে বের হন।
পরে সুকুমারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন
এসবি/