ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ঈদকে সামনে রেখে কর্মমূখর বেনারসিপল্লী (ভিডিও)

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০১:১৮ পিএম, ২৯ মার্চ ২০২২ মঙ্গলবার

ঈদকে সামনে রেখে কর্মমূখর পাবনার ঈশ্বরদী বেনারসিপল্লী। তবে শ্রমিক সংকট, সুতার মূল্য বেড়ে যাওয়া ও ভারতীয় শাড়ির দাপটে লাভ কম হচ্ছে তাঁতিদের।

ফুল ও পাতাযুক্ত নকশা, ঘন বুনন, আঁচল এবং জালির কাজে মন মাতানো বেনারসি শাড়ির কদর প্রাচীনকাল থেকেই। বেশিরভাগ গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে পরিধানযোগ্য এ শাড়ির উৎপত্তি ভারতের বেনারসে। 

সাতচল্লিশে দেশভাগের পর থেকে বাংলাদেশের বেনারসি পল্লীগুলো পর্যায়ক্রমে গড়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ, পাবনার ঈশ্বরদী, রাজধানীর মিরপুর ও রংপুরে।

নকশা এবং বিন্যাসে নির্ভরশীল একটি শাড়ি তৈরি হতে সময় লাগে ১৫ দিন থেকে একমাস বা কখনও ছয়মাস পর্যন্ত। ঈদের বাজার ধরতে বেনারসি পল্লীগুলোতে তাই ব্যস্ততা শুরু হয়েছে রমজানের অনেক আগে থেকেই।

কারিগররা জানান, “একটা শাড়ি তৈরি করতে এক সপ্তাহ লাগে। আবার কিছু কিছু শাড়ি আছে তাতে অনেক দিন সময় লাগে। ঈদের সময় মার্কেট কিছুটা চলে। সিজন আসলে সুতার দামও বেড়ে যায়।”

তাঁতি ও কারিগররা তৈরি করছেন জামদানি কাতান, সিল্ক কাতান, আচলপাঁড়, গ্রামীণচেকসহ নানা রং ও ডিজাইনের বেনারসি। 

ঈশ্বরদীর ফতে মোহাম্মদপুর বেনারসিপল্লীর প্রায় এক হাজার তাঁতের মধ্যে চালু মাত্র ১৭৮টি। এখানকার চার শতাধিক তাঁতমালিক ও দুই হাজার শ্রমিকের অধিকাংশই করোনা আর ভারতীয় শাড়ির দাপটে এখন বেকার। তবে নানা সংকটেও ঐতিহ্যবাহী এ শিল্পকে টিকিয়ে রেখেছেন অনেকে।

তাঁত মালিকরা জানান, “ইন্ডিয়ান মাল আসায় আমাদের মালের চাহিদা কম। সুতার দাম বাড়লেও আমাদের শাড়ির দাম বাড়ছে না।”  

তবে বেনারসিপল্লীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাঁতিদের ঘুরে দাঁড়াতে ঋণের ব্যবস্থা করেছে সরকার।  

ঈশ্বরদী বেনারসিপল্লীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ওবাইদুর রহমান জিলানী বলেন, “ঈদকে সামনে রেখে এদের ব্যবসা চাঙ্গা করার জন্য ঋণ দেওয়া হয়েছে। এই ঋণটা পেয়ে তারা নতুনভাবে ঘুরে দাঁড়াবে এবং ব্যবসাটা প্রসারিত করবে।”

ঈদের বিকিকিনি থেকে ক্ষতি পুষিয়েও সচ্ছলতা ফিরে পাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন তাঁতিরাও। 

ঈশ্বরদী তাঁতি সমিতির মো. ওয়াকিল আলম বলেন, “যদি ভারতীয় শাড়ি বাংলাদেশে না আনা হয় তাহলে আমাদের শাড়ির চাহিদা বাড়বে।”

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই বেনারসিপল্লীকে বাঁচাতে এখনই দরকার নীতিগত কর্মপরিকল্পনা, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। 

এএইচ/