হার্মার বিষে নীল বাংলাদেশ, পিছিয়ে ২৬৯ রানে
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৯:৫৭ পিএম, ১ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার | আপডেট: ১০:০১ পিএম, ১ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার
৪১ রান করে অপরাজিত তরুণ ব্যাটার জয়
ডারবান টেস্টে প্রথম দিনে পিছিয়ে থাকলেও দ্বিতীয় দিনের শুরু থেকেই চালকের আসনে বসে বাংলাদেশ। তবে দিনের শেষ সেশনে হার্মারের স্পিন বিষে নীল হয়ে ধসে পড়ে মোমিনুলদের ইনিংস। একাই চারটি উইকেট তুলে নিয়ে টাইগার ইনিংসে ধস নামান সিমন। তাইতো মাহমুদুল হাসান জয়ের লড়াকু ব্যাটিংয়ের পরও ব্যাকফুটে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৬৭ রানে অলআউট করার পর মাত্র ২৫ রানে সাদমানকে হারালেও ভালোই প্রতিরোধ গড়েছিল জয়-শান্ত জুটি। তবে শেষ বিকালে দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
শান্তর বিদায়ের পর অধিনায়ক মোমিনুল হক এবং অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমের দ্রুত বিদায়ে চাপে পড়ে গেল সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় দিনশেষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৪ উইকেটে ৯৮ তুলেছে বাংলাদেশ। যার ফলে এখনও পিছিয়ে আছে ২৬৯ রানে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে একাই ৪টি উইকেট নিয়েছেন সাত বছর পর দলে ফেরা ডানহাতি স্পিনার সিমন হার্মার। ব্যাট হাতেও বেশ ভুগিয়েছেন এই স্পিনার। অপরাজেয় থেকে যান ৩৮ রান করে।
এর আগে প্রথম দিনের ৪ উইকেটে ২৩৩ রানের সঙ্গে এদিন আরও ১৩৪ রান যোগ করতে পারে স্বাগতিক দল। এরমধ্যে সকালের সেশনে মাত্র ৫৫ রানের মধ্যেই ৪ উইকেট তুলে নেয় টাইগাররা। সকালে টানা দুই বলে দুই উইকেট নিয়ে দুর্দান্ত শুরু করেন খালেদ আহমেদ।
ফেরান কাইল ভেরেইন ও উইয়ান মুল্ডারকে। এরপর ১৯ রান করা কেশব মহারাজকে ফেরান এবাদত। একপ্রান্তে উইকেট গেলেও প্রথম দিন শেষে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকা বাভুমা শতকের দিকে এগোতে থাকেন। তবে ব্যক্তিগত ৯৩ রানের মাথায় মিরাজের দুর্দান্ত ডেলিভারিটি আটকাতে পারেননি বাভুমা। ৭ রানের আক্ষেপ নিয়ে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
২৯৮ রানে ৮ উইকেট হারানো প্রোটিয়া ইনিংস তাড়াতাড়িই শেষ হবে বলে মনে হচ্ছিল। তবে সিমন হার্মারের অপরাজিত ৩৮ রানের সুবাদে শেষ ২ উইকেট জুটিতে ৬৯ রান তোলে প্রোটিয়ারা। ফলে ৩৬৭ রানের ভালো স্কোর পায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ম্যাচে প্রোটিয়াদের পক্ষে বাভুমা ছাড়াও ডিন এলগার ফিফটি হাঁকান। করেন ৬৭ রান। বাংলাদেশের পক্ষে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ৮৪ রানে ৪টি উইকেট নেন খালেদ। এ ছাড়াও মেহেদী মিরাজ নেন ৩টি উইকেট। এবাদত শিকার করেন ২ উইকেট।
জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ওপেনার সাদমান ইসলামকে হারায় বাংলাদেশ। হার্মারের বলে ব্যক্তিগত ৯ রানে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই ব্যাটার। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৫৫ রানের জুটি গড়েন মাহমুদুল হাসান জয় ও নাজমুল হোসাইন শান্ত।
তবে হার্মারের অসাধারণ এক বলে বোল্ড হয়ে ৩৮ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন শান্ত। দলীয় ৮০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ওই রানেই তৃতীয় উইকেটও হারায় দল। ব্যক্তিগত পঞ্চাশতম ম্যাচে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন অধিনায়ক মোমিনুল হক।
হার্মারের বল ডিফেন্স করতে গিয়ে কিগান পিটারসেনের কাছে ক্যাচ দেন মোমিনুল। টাইগার অধিনায়কের আউটের পেছনে সম্পূর্ণ কৃতিত্ব দেয়া যায় পিটারসেনকেই। হার্মারের বলটি ব্যাটের কানায় লেগে শর্ট মিড অফে উঠলে বাম দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে শূন্যে ভেসে সেটা তালুবন্দি করেন পিটারসেন।
ব্যর্থ হয়ে মাঠ ছাড়েন পাঁচে নামা অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিমও। সেই হার্মারের বলেই উইকেট রক্ষক ভেরেইন্নের গ্লাভসে ধরা পড়ে ফেরেন মাত্র ৭ রান করা মুশফিক।
তবে এই ধ্বংস স্তুপের মাঝেও একাই বুক চিতিয়ে লড়ে গেছেন ওপেনিংয়ে নামা তরুণ মাহমুদুল হাসান জয়। সাবধানী ক্রিকেট খেলে ১৪১টি বল মোকাবেলা করে অপরাজিত আছেন ৪৪ রান নিয়ে। তার সঙ্গী হয়ে আছেন নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামা তাসকিন আহমেদ। ছয়টি বল মোকাবেলা করেছেন তিনি।
এনএস//