মিনারেল ও ড্রিংকিং ওয়াটারের গোলকধাঁধায় ভোক্তারা (ভিডিও)
মেহেদী হাসান, একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ১১:৫৬ এএম, ২ এপ্রিল ২০২২ শনিবার | আপডেট: ১১:৫৯ এএম, ২ এপ্রিল ২০২২ শনিবার
বোতলজাত পানি তৈরিতে বেশিরভাগ কোম্পানিই মানছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা। এরইমধ্যে মিনারেল আর ড্রিংকিং ওয়াটারের বিভাজন নতুন গোলকধাঁধায় ফেলছে ভোক্তাদের। যদিও কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গুণগত মান ঠিক রেখেই পানি বাজারজাত করছেন তারা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত পানিতে ৩০০ মিলিগ্রাম টোটাল ডিজলভ সলিড বা টিডিএস থাকা জরুরি। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম, সালফার, পটাসিয়াম, ক্লোরাইডসহ আরও কিছু উপাদানে সমন্বিত এই টিডিএস বা খনিজ মানবদেহের জন্য উপকারি।
কিন্তু দেশে উৎপাদিত বেশিরভাগ বোতলজাত পানিতে প্রায়োজনীয় খনিজ নেই। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের গবেষণা বলছে, দেশীয় ব্রান্ডগুলোর পানিতে গড়ে খনিজ পাওয়া গেছে লিটারে মাত্র ৫১ দশমিক ৯ মিলিগ্রাম।
তবে এর ভিন্ন ব্যাখ্যাও রয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় সব বোতলজাত পানিকে মিনারেল ওয়াটার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশে মিনারেল এবং ড্রিংকিং- এই দুই ধরনের বোতলজাত পানির অনুমোদন পাচ্ছে।
এমন বাস্তবতায় কোম্পানিগুলোর দাবি, তাদের উৎপাদিত পানি মানসম্পন্ন ও নিরাপদ।
প্রাণ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াছ মৃধা বলেন, “ওয়াল্ডের লেটেস্ট টেকনোলজিতে পানি প্রোপারলি ট্রিটমেন্ট করে স্ট্যান্ডার্ড পিএইচ লেবেলে আনা হয়। সেটাকে শতভাগ জার্ম মুক্ত করার পর বোতলজাত করা হয়।
পারটেক্স গ্রুপের এজিএম মো. নাহিদ ইউসুফ বলেন, “সরকারের দু-তিন সংস্থা রয়েছে, তারা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত সুপারভাইজ করছে। এজন্য আমরা শতভাগ কোয়ালিটি নিয়ে সচেতন।”
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জনস্বাস্থ্য ও বিকাশমান এ শিল্পের স্বার্থেই বোতলজাত পানির মান নিশ্চিত করা দরকার। সাথে নকল প্রতিরোধেও উদ্যোগ নেয়া জরুরি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, “পানিটা খেয়ে যে বোতলটা ফেলে দিচ্ছি ওই বোতলটাকে আবার রিসাইকেল করা হয়। টোকাই বা ভাঙ্গাড়িদের কাছ থেকে তারা কিনে নেয়। এটাতে পানি ভরে আবার ধারণা হয় এটাই আসল, তখন সমস্যাটা হয়। তারা যেই পানিটা ভরে এটা তো নিরাপদ নয়।”
পানিতে মেশানো খনিজ উপাদানের উৎস, প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি এবং কী ডিজইনফেক্ট ব্যবহার করা হয়েছে, তা বোতলের গায়ে থাকা উচিত বলছেন বিশ্লেষকরা।
এএইচ/