মানবিকের ছাত্র ঝুটন বানালেন মিনিপ্লেন (ভিডিও)
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০১:০৭ পিএম, ২ এপ্রিল ২০২২ শনিবার
মানবিক বিভাগে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছেন ছাত্র ঝুটন সম্রাট যীশু। অথচ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মেধা খাটিয়ে উদ্ভাবন করে ফেলেছেন মিনিপ্লেন। সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুরের প্যারীনগর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তানের এই প্রতিভা জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অধিদপ্তরে তুলে ধরার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
ঝুটন সম্রাট যীশু বলেন, “ছোটবেলায় বিমান বা হেলিকপ্টার গেলে দৌড়ে গিয়ে কৌতূহল নিয়ে দেখতাম।”
গুগল ও ইউটিউব দেখে তিন ফুট লম্বা ও চার ফুট ডানার প্লেনটি তৈরি করেছেন ঝুটন। উপবৃত্তির টাকাসহ নিজের জমানো প্রায় ১১ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তার। রিমোটচালিত আকাশযানটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে আধাঘণ্টা উড়তে পারে।
বিমান প্রস্তুতকারী ঝুটন সম্রাট যীশু বলেন, “এটা দিয়ে পরবর্তীতে কৃষি জমিতে সার-বীজ-কীটনাশক প্রয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে।”
শ্রমজীবী গোপেন্দ্র চন্দ্র দাস ও ইলা রানী দাসের তিন সন্তানের মধ্যে দ্বিতীয় ঝুটন। এর আগেও তিনি তৈরি করেছেন ড্রোনসহ নানা যন্ত্রপাতি। উদ্ভাবিত যন্ত্রপাতি সংরক্ষণের জায়গাও নেই তাদের ছোট্ট ঘরে।
ঝুটনের মা ইলা রানী দাস বলেন, “আমার এবং তার মামার কাছ থেকে কিছু নিয়ে অনলাইনে জিনিসপত্র এনে বিমান বানায়।”
ঝুটনের বড় ভাই ঝলক রাজা অপি বলেন, “এর চেয়ে ভালকিছু করতে হলে সরকারের সহযোগিতা দরকার।”
সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ঝুটনের প্রতিভা বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেতো, মনে করেন প্রতিবেশী ও সহপাঠীরা।
ঝুটনকে নিয়ে গর্বিত তার কলেজের শিক্ষকরাও।
বিশ্বম্ভরপুর দিগেন্দ্র বর্মণ সরকারি ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক মো. মশিউর রহমান বলেন, “রিমোর্ট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ২০-৩০ মিনিট একটা বিমান আকাশে উড্ডয়ন করা এবং সে যে স্বপ্ন দেখেছে এটা তরুণ সম্প্রদায়ের জন্য এটা মেসেস।”
বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন, “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অধিদপ্তরের সঙ্গে আমরা আলাপ করব এবং তার মেধার বিষয়টি জানাব।”
ইন্টারনেট আর বিজ্ঞান-প্রযুক্তিতে ভর করে ঝুটন এগিয়ে যাবেন আরও অনেক দূরে, প্রত্যাশা সবার।
এএইচ/