ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

ভারত-নেপালের মধ্যে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:২১ পিএম, ২ এপ্রিল ২০২২ শনিবার

ভারত ও নেপালের মধ্যে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেনের চলাচল শুরু হয়েছে। শনিবার (২ এপ্রিল) রাজধানী নয়াদিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে যৌথভাবে দুই দেশের মধ্যে এই ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করেন সফররত নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। খবর জি নিউজের।

শুক্রবার (১ এপ্রিল) তিন দিনের সফরে ভারতে পৌঁছান নেপালের প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দেউবা। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই তার প্রথম ভারত সফর। শেষবার ২০১৭ সালে ভারতে আসেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যায় নয়াদিল্লিতে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই দেশের মধ্যে সংযোগকারী এই ট্রেন পরিষেবার সূচনা করেন দুই নেতা।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্য মতে, ভারতের বিহার প্রদেশের জয়নগর থেকে নেপালের কুরথা পর্যন্ত চলবে এই ট্রেন পরিষেবা। জয়নগর থেকে কুরথা পর্যন্ত দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। ৬১৯ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছর এই রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়।

এই ৩৫ কিলোমিটার পথ আসলে ৬৮.৭ কিলোমিটার লম্বা জয়নগর-বিজলপুরা-বারদিবাস রেলপথের একটি অংশ। বাকি অংশের কাজ দুটিভাগে শেষ করা হবে।

মোট ১১০০ জন যাত্রী নিয়ে ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিতে চলবে এই ট্রেন। এছাড়াও পাঁচ কামরার এই ট্রেনের একটি কামরা হবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত। ট্রেন চলাচলের সঙ্গে সঙ্গে নেপালে চালু হয়েছে ভারতীয় ‘রুপে’ কার্ডের মাধ্যমে কেনাকাটা। এর আগে সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভুটানে ‘রুপে’ কার্ড চালু হয়।

বিহারের জয়নগর থেকে নেপালের বিজলপুরা পর্যন্ত রেলপথ ব্রিটিশ আমলেই চালু হয়েছিল। ১৯৩৭ সালে ন্যারোগেজ লাইন ছিল। ২০০১ সালে নেপালে বন্যার জেরে সেই রেলসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর থেকেই ফের রেল সংযোগের দাবি জোরালো হচ্ছিল।

দেউবা এখন পর্যন্ত পাঁচবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। প্রত্যেকবার প্রধানমন্ত্রী হয়েই ভারতে সফর করেছেন তিনি। গত জুলাইয়ে পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এটাই তার প্রথম ভারত সফর। স্ত্রী আরজু ছাড়াও এই সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধিদল। রয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নারায়ণ খাড়কাসহ চার মন্ত্রী, উচ্চপদস্থ আমলা ও ব্যবসায়ীরা।

হায়দরাবাদ হাউসে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর মোদি বলেন, “দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যসহ সব ধরনের যোগাযোগ বাড়ানো হবে। তিনি বলেন, শান্তি, উন্নতি ও প্রগতির পথে নেপালের যাত্রায় ভারত সব সময়ের সহযাত্রী।”

দেউবা বলেন, “নেপালের প্রতি ভারতের মৈত্রী আজকের নয়। তার সফর এই সম্পর্কের ধারাবাহিকতাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। কোভিড নিয়ন্ত্রণে ভারতের ভূমিকা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিষেধক দিয়ে ভারত যেভাবে নেপালকে সাহায্য করেছে, তাতে তারা কৃতজ্ঞ।”

আরকে//