ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১১ ১৪৩১

মন্ত্রিপরিষদে স্থান চান জোটের নেতারা (ভিডিও)

ফারজানা শোভা, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৪৪ এএম, ৪ এপ্রিল ২০২২ সোমবার | আপডেট: ১১:৫১ এএম, ৪ এপ্রিল ২০২২ সোমবার

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ অংশগ্রহণ ছাড়াও মন্ত্রিপরিষদে স্থান চান আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা। এ বিষয়ে জোটের নেতৃত্বে থাকা ক্ষমতাসীনদের অবস্থান স্পষ্ট করারও তাগিদ দিয়েছেন তারা। তবে আওয়ামী লীগ নেতা বলছেন, জোট নেতাদের নিরাশ করবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে জোট বেধেছিল ছোট বড় ১৩টি দল। বর্তমানে সব দল সক্রিয় না থাকলেও আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এই জোটকে পাশে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। 

প্রায় তিন বছর পর গেল ১৫ মার্চ গণভবনে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জোটপ্রধান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সাড়ে তিন ঘণ্টার বৈঠকে ক্ষমতার বাইরে থাকা শরিকরা নিজেদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি, জোটের কর্মপরিধি কী হবে তা এখনই পরিষ্কার করার দাবি নেতাদের। 

জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, “কয়েকজন মন্ত্রী হবেন কয়েকজন মন্ত্রী হবেন না, সেটার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ সরকারের সঙ্গে ১৪ দলের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সম্পর্ক। গত তিনবছরে আওয়ামী লীগ তাদের দলীয় সদস্যদের দিয়ে সরকার গঠন করেছে। মন্ত্রিসভায় থাকার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সরকার কিভাবে চলছে। সেই ব্যাপারে আদান-প্রদান ধারাবাহিকভাবে রাখা দরকার। সেখানে একটা ফাঁক থেকে যাচ্ছে।”

ক্ষমতার ভাগাভাগির প্রশ্নে ক্ষমতাসীনদের পরিষ্কার অবস্থান এখনই জানতে চান তারা।

বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “দুই বছরের প্রশ্ন বলি বা অন্যান্য রাজনৈতিক প্রশ্ন বলি, কোন ক্ষেত্রেই আমাদের সাথে কোন বিষয়ে আলোচনা হয়নি। এবারে আওয়ামী লীগ পুরোপুরো নিজেদের আওয়ামী লীগ সরকার বলছে। তারা কখনই চলছে না এটা জোট সরকার, আমরাও বলছি না এটা। তাহলে এবারের মত আবার পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলবেন, আপনারা বিরোধী দলে বসেন। এটা তো হয় না।”

জাতীয় পার্টি (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম বলেন, “এটা চূড়ান্তভাবে নির্ভর করবে জোটনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপরে। তাই বলে আমরা আসন বণ্টন নিয়ে জোটের অভ্যন্তরীণ কোন বিভক্তি বা দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়, সেটা আমাদের কাম্য নয়।”

তবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলছেন, জোট নেতাদের নিরাশ করবেন না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শরিকদের যোগ্য সম্মান দিয়েই আগামী নির্বাচনে আবারও জোট বাঁধতে চায় ক্ষমতাসীনরা। 

আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান বলেন, “কারও কারও মনে কিছু ক্ষোভ আছে, ক্ষোভ থাকা খুবই স্বাভাবিক। কারণ সকলের সকল দাবি তো মিটানো সম্ভব হয় না। তারপরেও আমি বলবো, আলোচনা খুবই ফলপ্রসু হয়েছে। আগামীতে আমরা জোটবদ্ধভাবে নির্বাচন করবো, এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া তাদের আরও কিছু দাবি থাকতে পারে, সেটা নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করবেন।”

স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে আবারও একসঙ্গেই লড়াই করতে চায় আওয়ামী লীগ।

এএইচ/