‘ধর্ষণের সময় চিৎকার করায় শিশু আসমাকে হত্যা’
নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:০২ এএম, ৫ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার
উঠান থেকে প্রথমে শিশু আসমা আক্তারকে (৫) নিজের ঘরে তুলে নেয় ধর্ষক। পরে পালাক্রমে ধর্ষণের সময়ে চিৎকার করায় শ্বাসরোধে আসমাকে হত্যা করা হয় বলে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে গ্রেপ্তারকৃত আসামি শাহাদাত হোসেন (২২)।
সোমবার চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, শাহাদাত স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়া লেখা করার পর নিজের বাবার একটি আড়ৎ দেখাশুনা করতো। এর পাশাপাশি বাড়িতে তার একটি মুরগির খামার ছিল।
১৬৪ ধারায় জবানবন্দির বরাত দিয়ে ওসি বলেন, গ্রেপ্তারের পর রোববার বিকালে আসামি শাহাদাত হোসেনকে জেলা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের বিজ্ঞ বিচারক নবনীতা গুহ ১৬৪ ধারায় আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দিতে সে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
আসমার চাচাতো ভাই শাহাদাত হোসেন জবানবন্দিতে বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে আসমার ওপর কু-নজর ছিল তার। এর সূত্রধরে গত ২৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে আসমাকে বাড়ির উঠান থেকে তুলে নিজের ঘরে নিয়ে যায় সে। পরে জোরপূর্বক শিশুটিকে মুখ চেপে ধরে ধর্ষণ করেন, এসময় আসমা চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে একটি পলিথিনে মুড়িয়ে বস্তাবন্দি করে মরদেহটি পাশ্ববর্তী বাড়ির টয়লেটের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় শাহাদাত।
পুরো ঘটনা সে একাই ঘটিয়েছে বলেও স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত শনিবার রাতে আসমার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে রোববার বিকালে আসমার মরদেহ তার পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আসামি শাহাদাতকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
কিছু গণমাধ্যমে ওসির বরাত দিয়ে শিশুটিকে হত্যার পর পুনঃরায় ধর্ষণ করা হয়েছে বলে সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ওসি গিয়াস উদ্দিন।
এদিকে, শিশু আসমাকে ধর্ষণ ও হত্যা ঘটনায় হত্যাকারী শাহাদাত হোসেনের ফাঁসির দাবিতে মেঘা গ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্টুডেন্টস ডেভেলপমেন্ট ফোরাম। এতে নিহতের স্বজন, স্থানীয় এলাকাবাসীসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশগ্রহণ করেন।
এএইচ/