এক শিক্ষার্থীকে দুই স্কুলে ভর্তি দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন
ভান্ডারিয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ০৯:২৪ এএম, ৫ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় এক শিক্ষার্থীকে দুই স্কুলে ভর্তি দেখিয়ে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করছে একটি চক্র।
তথ্য অনুসন্ধানে দেখা যায়, উপজেলার ১০৩নং দক্ষিণ শিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান শিক্ষক ও স্কুলের অভিবাবক কমিটির সভাপতি এই ঘটনা ঘটিয়েছেন।
৫ বছরের বেশি বয়সের শিশুদের প্রাক প্রাথমিক শ্রেণীতে ভর্তির সরকারি নীতিমালাকে অগ্রাহ্য করে উপবৃত্তির টাকার ভাগ নেয়ার উদ্দেশ্যে পার্শবর্তী এলাকার আব্দুর রহমান ও মনি আক্তারের জমজ মেয়ে সুমাইয়া ও তাহেরাকে (চার বছর বয়সে) ২০২০ সালে প্রাক শ্রেণীতে ভর্তি করা হয় এবং তাদের নামে উপবৃত্তির টাকা তুলে নেয়া হয়।
সুমাইয়া ও তাহেরার বাবা আব্দুর রহমান প্রবাসে থাকা অবস্থায় তার স্ত্রী মনি আক্তারকে ভুল বুঝিয়ে প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন গাজী এ কাজ করেন।
পরের বছর ২০২১ সালে আব্দুর রহমান দেশে এসে ওই স্কুল থেকে তার মেয়ে সুমাইয়া ও তাহেরাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী ৩৭নং পশ্চিম শিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি করান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক বেলায়েত গাজী সুমাইয়া ও তাহেরার নাম ১০৩নং স্কুল থেকে বাদ না দিয়ে পরবর্তি শ্রেণীতে নাম তুলতে থাকেন।
বর্তমানে সুমাইয়া ও তাহেরা ১০৩নং দক্ষিণ শিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণীৎর ও ৩৭নং পশ্চিম শিংহখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রথম শ্রেণী ছাত্রী এবং উভয় স্কুল থেকে তাদের নামে আসে উপবৃত্তি।
মজার বিষয় হল, সুমাইয়া ও তাহেরার বাবা আব্দুর রহমান ১০৩নং বিদ্যালয়ের অভিভাবক শ্রেণীর সদস্য। আর এ রকম সাজানো সদস্যদের ভোটে ওই স্কুল থেকে সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান শিক্ষক বেলায়েত হোসেন গাজী বর্তমান অভিভাবক কমিটির সভাপতি।
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ১০৩নং স্কুলের অভিবাবক কমিটির সভাপতি বেলায়েত হোসেন গাজী বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাসির উদ্দিন খলিফা বলেন, অনিয়মের বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জেছের আলি বলেন, অর্থনৈতিক অনিয়মের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগের প্রয়োজন নেই, এ ব্যাপারে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এএইচ/