ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪,   কার্তিক ১৮ ১৪৩১

বেনাপোল স্থলবন্দরে বসানো হলো ৩৭৫টি সিসি ক্যামেরা

একুশে টেলিভিশন  

প্রকাশিত : ০২:৩৯ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার

সিসি ক্যামেরার আওতায় এল দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল। বন্দরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ৩৭৫টি সিসি ক্যামেরার মধ্য দিয়ে পর্যবেক্ষণ হচ্ছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও পাসপোর্টধারী যাত্রীর গতিবিধি। এতে আমদানিকারকদের মধ্যে ফিরেছে স্বস্তি। 

আমদানিকারকরা বলছেন, সিসি ক্যামেরার আওতায় আনায় বন্দর থেকে কমবে পণ্য চুরি।

ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, স্থলবন্দর সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার। এতে বন্দরের নিরাপত্তার পাশাপাশি স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এর আগেই নিরাপত্তার স্বার্থে বেনাপোল কাস্টমস, ইমিগ্রেশনসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকলেও, বন্দরে তা এতদিন ছিল না।

যার ফলে পণ্য চোরাচালান, মাদক পাচার, দুর্বৃত্তায়ন কর্মকাণ্ডসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা হরহামেশাই চলত।

আর এবার সিসি ক্যামেরা স্থাপনে নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ১৯৭২ সালের শুরুর দিকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু।

দেশের স্থলপথে যে বাণিজ্য হয় তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে।

প্রতিবছর বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতের সাথে প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকার আমদানি ও ৮ হাজার কোটি টাকার রফতানি বাণিজ্য হয়ে থাকে।

আমদানি বাণিজ্য থেকে সরকারের রাজস্ব আসে প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা।

বেনাপোল আমদানি-রফতানিকারক সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক বলেন, “বন্দরে পণ্য চুরি, পণ্য চোরাচালান, বারবার অগ্নিকাণ্ড, মাদক পাচার, অপরাধ কর্মকাণ্ডসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছিল। এতে স্বাভাবিক বাণিজ্য যেমন ব্যাহত হচ্ছিল, তেমনি ঝুঁকির মধ্যে ছিল বন্দরের নিরাপত্তা। ফলে ব্যবসায়ীরা দাবি তোলেন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করার। দীর্ঘদিন পর এবার বন্দরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে সে অপেক্ষার অবসান হলো।”

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, “সিসি ক্যামেরা স্থাপনের ফলে বৈধপথে পণ্য আমদানি হবে। সঙ্গে চোরাচালান, মাদক পাচার কমে বাণিজ্যিক নিরাপত্তা অনেকটা নিশ্চিত হবে।”

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গত বছরের সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শুরু হলেও করোনার কারণে শেষ করতে দেরি হয়।

এখন বন্দরের আমদানি পণ্য প্রবেশদ্বার, ট্রাক টার্মিনাল, বাইপাস সড়ক, ঢাকা-কলকাতা মহাসড়ক, প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল, বাস টার্মিনালসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ৩৭৫টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে।

বন্দর প্রশাসনিক ভবন সিসি ক্যামেরায় তদারকি হচ্ছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম ও যাত্রী যাতায়াত। এতে নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে।

বেনাপোল কাস্টম হাউজের যুগ্ম কমিশনার আবদুর রশীদ মিয়া বলেন, বেনাপোল বন্দরে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি আমরাও বন্দর কর্তৃপক্ষকে বলেছি। অবশেষে

সেটি কার্যকর হওয়ায় আমদানিকারকরা স্বস্তি পাবেন। আশা করছি, ভারতের সঙ্গে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের গতি আরো বাড়বে।

আরএমএ