মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা মীম
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৪:২১ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৫:০৮ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন খুলনার সুমাইয়া মোসলেম মীম। লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ৯২ দশমিক ৫ নম্বর পেয়েছেন। সবমিলে তার প্রাপ্ত নম্বর ২৯২ দশমিক ৫। ১ এপ্রিল খুলনা মেডিক্যাল কলেজ কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন এই শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল ঘোষণা করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ ফল ঘোষণা করা হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় ৭৯ হাজার ৩৩৭ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। যা পরীক্ষায় অংশ নেওয়া মোট শিক্ষার্থীর ৫৫ দশমিক ১৩ শতাংশ। এদের মধ্যে মেয়ে উন্নীত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৫০৪ জন (৫৬ দশমিক ০৯ শতাংশ) এবং ছেলে ৩৪ হাজার ৮৩৩ জন (৪৩ দশমিক ৯১ শতাংশ)। এবছর সর্বোচ্চ ৯২ দশমিক ৫ নম্বর পেয়েছেন সুমাইয়া মুসলেম মিম। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ হাজার ৩৫০ জন দেশের ৩৭টি সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। যাদের মধ্যে এক হাজার ৮৮৫ জন ছেলে এবং ২ হাজার ৩৪৫ জন মেয়ে। বাকিদের মধ্যে মেধাক্রম অনুযায়ী ৭২টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন। বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে আসন সংখ্যা ছয় হাজার ৪৮৯টি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনার সরকারি এম এম সিটি কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া মোসলেম মীম। বাবা মোসলেম উদ্দিন সরদার ডুমুরিয়া কলেজের সহযোগী অধ্যাপক। মা খাদিজা খাতুন সরকারি চাকরি করেন। ডুমুরিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের আরাজি এলাকায় বাড়ি তাদের। পরিবারের সঙ্গে বর্তমানে খুলনা শহরের মৌলভীপাড়ার ১৪ টিবি বাউন্ডারি রোড এলাকায় থাকেন মীম।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে যশোর বোর্ডের অধীনে ডুমুরিয়া গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পান মীম। ২০২১ সালে একই বোর্ডের অধীনে সরকারি এমএম সিটি কলেজে থেকে এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পান। এরপর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন।
দেশসেরা হওয়ায় উৎফুল্ল মীম। তার এমন ফলে পরিবারে বইছে আনন্দের বন্যা। মেয়ের এমন সাফল্যে বাবা মোসলেম উদ্দিন সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন।
সেরা হওয়ার অনুভূতি প্রকাশ করে সুমাইয়া মোসলেম মীম বলেন, “এটি আমার জন্য সবচেয়ে খুশির সংবাদ। বাবা-মায়ের অনুপ্রেরণা ও শিক্ষকদের সহযোগিতায় কঠোর পরিশ্রম করার ফল এটি। সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”
আরকে//