ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ১০ ১৪৩১

ব্যবসায়ী হওয়া কি অপরাধ? সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৬:০৫ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার | আপডেট: ০৬:৪১ পিএম, ৫ এপ্রিল ২০২২ মঙ্গলবার

ব্যবসায়ী হওয়া তার অপরাধ কি-না সংসদে প্রশ্ন তুলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। বিরোধী দলের সাংসদেরা বলেছেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী হয়েও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) জাতীয় সংসদে 'বাণিজ্য সংগঠন বিল-২০২২' পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাংসদেরা।

বিল পাসের আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, “গ্যাসের অভাবে ঢাকায় হাহাকার চলছে। গ্যাসের দাম, তেলের দাম সব বাড়ানো হচ্ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার ব্যর্থ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কিছু উদ্যোগ সরকার নিয়েছে। কিন্তু সেখানে স্বচ্ছতার অভাব আছে।”

তিনি বলেন, “ব্যবসায়ীরা জনপ্রতিনিধি হয়ে সম্পদের পাহাড় গড়ছেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ক্ষমতার বলয়ে থেকে সিন্ডিকেট বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। তারেক রহমান লন্ডন থেকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করছেন, বিএনপির কারণে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, এসব অপ্রাসঙ্গিক কথা না বলে সরকারকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে।”

জাতীয় পার্টির সাংসদ পীর ফজলুর রহমান বলেন, “বাণিজ্যমন্ত্রী সজ্জন মানুষ। কিন্তু তিনি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। যে কারণে প্রায় সময় সিন্ডিকেট দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। মন্ত্রী একজন অভিজ্ঞ ব্যবসায়ী কিন্তু কেন তিনি সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, সত্য স্বীকার করতে হবে। বাণিজ্যমন্ত্রী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। সিন্ডিকেট করে তেলের দাম বাড়িয়ে হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেছে। কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেননি।”

এছাড়া বিরোধী দলের অন্যান্য সাংসদরা আরো নানা সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর কড়া সমালোচনা করেন।

এসব সমালোচনার জবাব দিতে গিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “তিনি ব্যবসায়ী এটি বেশি করে বলা হয়। কিন্তু তিনি ব্যবসা করছেন ৪০ বছর ধরে, আর রাজনীতি করছেন গত ৫৬ বছর ধরে। এসময় তিনি প্রশ্ন রাখেন ব্যবসায়ী হওয়া তার অপরাধ কি-না সংসদের প্রশ্ন রাখেন।”

টিপু মুনশি বলেন, “যুদ্ধের কারণে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে, এটা তিনি কখনো বলেননি। প্রতি মাসে তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। এখন বিশ্ব বাজারে ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে। সরকার কোথাও ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে না। ব্যবসায়ীদের সহায়তা করে। যে কেউ চাইলে তেল আমদানি করতে পারে। সরকার সিন্ডিকেট এটা ভাবার কোনো কারণ নেই।”

মন্ত্রী বলেন, “একটি টিসিবির ট্রাক থেকে আড়াইশ মানুষকে পণ্য দেওয়া হয়। ছবি দেখানো হয় পণ্যের জন্য মানুষ দৌড়াচ্ছে। ৩০০ জন লাইনে দাঁড়ালে ৫০ জন পাবেন না। বাকি ২৫০ জন যে পণ্য পেয়েছেন সেটা দেখানো হয় না।”

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “সিন্ডিকেট বলে যাদের কথা বলা হচ্ছে তারা কেউ রাজনীতি করেন না, তারা কেউ এমপি নন। সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী প্রতিনিয়ত ফলোআপ করছেন।”

আরকে//