মালয়েশিয়ায় বৈধতার আবেদনে শীর্ষে বাংলাদেশিরা
প্রকাশিত : ০২:৫৫ পিএম, ১ জুলাই ২০১৭ শনিবার | আপডেট: ০৫:৫৮ পিএম, ১ জুলাই ২০১৭ শনিবার
মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে অবস্থানরতদের বৈধ হতে সরকারের দেওয়া সাড়ে চার মাস সময়সীমার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবেদন করেছেন বাংলাদেশিরা। শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকেই অবৈধদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মালয়েশিয়া সরকার বিদেশি কর্মীদের জন্য বৈধ হওয়ার এ সুযোগ চালু করে।
প্রায় ২.৫ লাখ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় বৈধতা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপ প্রধানমন্ত্রী জাহিদ হামিদি।
দেশটির সাংসদদের এক প্রশ্নের জবাবে গতকাল শুক্রবার তিনি মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টকে জানান, বাংলাদেশসহ মোট ১৮ লাখ ৫৪ হাজার ৬৮৩ জন বিদেশি কর্মী অভিবাসন বিভাগের কাছ থেকে অস্থায়ী ভিসা নিয়ে দেশটিতে কর্মরত।
অভিবাসন বিভাগের মহাপরিচালক মুস্তাফার আলী কুয়ালালামপুরে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ই-কার্ড নেওয়ার সময়সীমা আর বাড়ানো হবে না। সময়সীমা শেষ হওয়ার সাথে সাথে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার অভিযান শুরু হবে; তাদের নিয়োগদাতাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। এমনকি স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে আসা লোকদের চাকরি দিয়েছেন, তারাও রেহাই পাবেন না।
জানা গেছে, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট কার্ড (ই-কার্ড) বা সাময়িক কাজের অনুমতিপত্র পেতে যে ১৫টি দেশের নাগরিকরা আবেদন করেছেন, তার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।
দেশটিতে ২৬ হাজার ৯৫৭টি কোম্পানির মোট একলাখ ৫৫ হাজার ৬৮০ জন অবৈধ প্রবাসী আবেদনকারীর মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা ৭১ হাজার ৯০৩; এর পরেই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া (২৬ হাজার ৭৬৪) ও মিয়ানমারের (১১ হাজার ৮২৫) নাগরিকরা।
এর মধ্যে এক লাখ ৪০ হাজার ৭৪৬ জনকে ই-কার্ড ইস্যু করা হয়েছে, সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে চার ভাগের একভাগেরও কম।
এই সময়ে মোট ৬ লাখ অবৈধ শ্রমিক ই-কার্ডের সুবিধা নেবে বলে মালয়েশিয়ার অভিবাসন কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা ছিল।
বাংলাদেশ হাই কমিশনের শ্রম কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম তখন জানান, রি-হায়ারিং কর্মসূচির সহায়ক হিসেবে মালয়েশিয়া সরকার ই-কার্ড কর্মসূচি চালু করে।
এই কর্মসূচির আওতায় পাওয়া ই-কার্ড ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
যাদের পাসপোর্ট নেই তারা এই সময়ের মধ্যে হাই কমিশন থেকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করে তারপর রি-হায়ারিং কর্মসূচির আওতায় ভিসা নিতে পারবেন।
তবে মালয়েশিয়ার শিল্প মালিকদের বিভিন্ন সংগঠন ই-কার্ড নেওয়ার এ সময়সীমা আরও বাড়ানোর দাবি করেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে । সূত্র : ডেইলী স্টার ও দি স্টার অনলাইন।