ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

অল্প বয়সেই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছিলেন যে বলি তারকারা!

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫০ এএম, ৬ এপ্রিল ২০২২ বুধবার

মা হবার স্বাদ গ্রহণ করতে চায় না এমন নারী কমই রয়েছেন। তবে কেউ আবার দেরি করে মা হতে চায়। আর ভবিষ্যতের কথা ভেবে অল্প বয়সে নিজেদের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রেখেছেন বহু খ্যাতনামী নারী।

অনেক নারীই আছেন যারা কর্ম জীবনে অনেক ব্যস্ত। তারকা হওয়ার সুবাদে হয়তো ব্যক্তিগত জীবনে সময় দিতে পারেন না কেউ কেউ। অথবা নেহাৎই মা হতে চান না এখনই। তাই বলে কখনও-ই মা হবেন না এমন নয়। সেই ভাবনা থেকেই কম বয়সে ডিম্বাণু সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত।

আসলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক নানা পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যান মেয়েরা। মা হওয়ার নানা জটিলতাও তৈরি হয় অনেক ক্ষেত্রে। অল্প বয়সে সংরক্ষিত ডিম্বাণু সে ক্ষেত্রে বেশি বয়সে মা হওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর। তা থেকে সন্তান ধারণের সম্ভাবনাও তুলনামূলক বেশি।

তবে এই প্রক্রিয়া সুবিধাজনক হলেও ব্যয়সাধ্য। ফলে সাধারণত বড়লোকেরাই এই সুবিধা নিতে পারেন। হলিউডের বহু তারকা এ ব্যাপারে আগেই পথ দেখিয়েছেন। তবে বলিউডও পিছিয়ে নেই। ভবিষ্যতে মা হওয়ার আশায় আগে থেকে ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রেখেছেন বহু নায়িকা, প্রাক্তন সুন্দরী, মডেল এমনকি প্রযোজক-পরিচালকেরাও।

এদের মধ্যে অন্যতম বলিউড অভিনেত্রী কাজলের বোন তানিশা মুখোপাধ্যায়। তিনি ৩৯ বছর বয়সে সংরক্ষণ করেছিলেন তার ডিম্বাণু। তানিশা নিজেও একজন অভিনেত্রী। বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বিগ বসের সপ্তম মরসুমের প্রতিযোগীও ছিলেন তিনি।

এ বিষয়ে একটি সাক্ষাৎকারে তানিশা জানিয়েছিলেন, “তিনি ৩৩ বছর বয়সেই ডিম্বাণু সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু যে চিকিৎসকের কাছে তিনি যান, তিনি তাকে বাধা দেন।”

ভারতের টিভি জগতের তারকা পরিচালক একতা কাপুর। সফল প্রযোজকও তিনি। একতা তার ৩৬ বছর বয়সে সংরক্ষণ করেছিলেন ডিম্বাণু। যদিও একতা ২০১৯ সালে সারোগেসির মাধ্যমে মা হয়েছেন। তার আগে আইভিএফের একাধিক জটিল প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল একতাকে।

বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্তও ডিম্বাণু সংরক্ষণ করে রেখেছেন। রাখি এক বছর আগে বিয়ে করেছেন এক প্রবাসী ভারতীয়কে।

তবে এই বলিউড অভিনেত্রীদের মতোই হলিউডের বহু তারকাও নিজেদের ডিম্বাণু সংরক্ষণ করেছেন। এদের মধ্যে কোর্টনি কার্দেশিয়ান, কিম কার্দেশিয়ান, রিটা ওরা, এমি স্কামারের মতো খ্যাতনামীরাও রয়েছেন।
সূত্র: আনন্দবাজার
আরএমএ/ এসএ/