ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়েছে ডায়রিয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০২:৫৯ পিএম, ৬ এপ্রিল ২০২২ বুধবার

হঠাৎ করেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেড়ে চলেছে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। রোগীর চাপ বেশি থাকায় হাসপাতালে শয্যা না পেয়ে অনেক রোগীকে ওয়ার্ডের বারান্দা ও ফ্লোরে অবস্থান করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।

এতে করে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রোগীরা। গত ১ সপ্তাহে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন ৪৭৭ জন রোগী।

এদিকে চিকিৎসা মান নিয়ে প্রশ্ন না থাকলেও ওয়ার্ডের পরিবেশ ভালো নয় বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক রোগী ও তাদের স্বজন। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, হাসপাতালের চারতলায় ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নিয়মিত মোট ২০টি শয্যা থাকে। তবে রোগী বেড়ে যাওয়ায় এখন শয্যা বাড়িয়ে ৩০টি করা হয়েছে।

তবে এতেও জায়গা না হওয়ায় রোগীরা ওয়ার্ডের বাইরে ও ভেতরে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, চলতি বছরের তিন মাসের মধ্যে মার্চ মাসে রোগীর সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ।

জানুয়ারি মাসে রোগীর সংখ্যা ছিলো ১ হাজার ৫১ জন, ফেব্রুয়ারি মাসে ছিলো ১ হাজার ৯৯ জন ও মার্চ মাসে এসে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৮৫৪ জনে।

সাধারণত বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার সময় হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা কিছুটা বাড়ে। তবে এ বছর মার্চ মাসে হাসপাতারেল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।

রোগীদের বেশির ভাগই নারী ও পুরুষ। তাদের অধিকাংশই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য।

হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স দিপালী রাণী দাস বলেন, “বাড়তি চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও নার্স। ওয়ার্ডে শয্যার চেয়ে রোগী বেশি থাকায় রোগীদেরকে বারান্দায় ও ফ্লোরে বিছানা করে দেয়া হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ৪৭৭ জন রোগী  হাসপাতালে আসে।  এর মধ্যে গত ৩০ মার্চ ৩৮ জন, ৩১ মার্চ ৬০ জন, ১ এপ্রিল ৭৫ জন, ২ এপ্রিল ৮০ জন, ৩ এপ্রিল ৭৭ জন, ৪ এপ্রিল ৮৮ জন, ৫ এপ্রিল ৩৯ এবং ৬ এপ্রিল বুধবার সকাল পর্যন্ত ২০ জন রোগী ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ভর্তি হন।”

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের রুহুল আমিন (২৫) বলেন, “গত ২ দিন ধরে জ্বর, বমি, পেট ব্যাথা ও পাতলা পায়খানা হচ্ছিল। পরে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। ভর্তির পর থেকে ২টি স্যালাইন দেয়া হয়েছে। শারিরীকভাবে খুব দুর্বল বোধ করছি।”

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, “গরম থেকে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। শিশুর চেয়ে বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন বেশি।”

এ সময় বিশুদ্ধ পানি পান করার ও ফুটপাতের দোকান থেকে কিছু না খাওয়ার পরামর্শও দেন তিনি।

আরএমএ