ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৯ ১৪৩১

‘বই পড়ার ইচ্ছে জাগলে সেলুনে আসো’ (ভিডিও)

পঞ্চগড় প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০১:০৮ পিএম, ৭ এপ্রিল ২০২২ বৃহস্পতিবার

সেলুনে এলে বই পড়ো। কিংবা বই পড়ার ইচ্ছে জাগলে সেলুনে আসো। মানুষের মাঝে আলো ছড়াতে বিভিন্ন সেলুনে পাঠাগার স্থাপন করে জনপ্রিয় পঞ্চগড়ের তরুণ আল আমিন। কলেজছাত্রের ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগে খুশি বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

পঞ্চগড়ের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আল আমিন। জ্ঞানের ফেরিওয়ালা নামে যিনি এলাকায় পরিচিত। ২১টি সেলুনে পাঠাগার গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। ইতিমধেই ৪টিতে পাঠাগার স্থাপনের কাজ শেষ হয়েছে। 

সেলুনে আসা যুবকরা জানান, “সেলুনে এসে দেখি অনেক সিরিয়াল। সিরিয়াল দেয়ার পর দেখি অনেক বই। এই সময়টায় মোবাইল চাপার পরিবর্তে সুন্দর সুন্দর বই পড়তে পারছি। এই প্রথম দেখলাম সেলুনে লাইব্রেরি, উদ্যোগটা যারা নিয়েছে তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।”

আল আমিনের এই উদ্যোগে খুশি শহরের সেলুন ব্যবসায়ীরা। সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস তাদের। 

সেলুন মালিক ধীরেন্দ্রমহন বিশ্বাস বলেন, “এই উদ্যোগটা সামাজিকভাবে বহু কাজে লাগবে।”

সেলুনে সেবা নিতে আসা সবাইকে বই পড়তে উৎসাহিত করছেন আল আমিন।

সেলুন পাঠাগারের উদ্যোক্তা মো. আল আমিন বলেন, “নতুন প্রজন্মকে বই পড়ার মাধ্যমে একজন মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ তৈরি করতে আমি এই উদ্যোগটি নিয়েছি।”

সেলুন পাঠাগার গড়ে তোলার উদ্যোগ যুব সমাজের মোবাইল ফোন আসক্তি কমাতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হবে এলাকার মানুষ। এমন প্রত্যাশা এলাকার শিক্ষক সমাজের।

পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক মো. হাসনুর রশিদ বাবু বলেন, “বিপ্লব আকারে এটা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ুক। বই পড়াটা আবার ফিরে আসুক। মানুষের মধ্যে সুচিন্তা, সুভাবনা এগুলোর উদয় হোক।”

পঞ্চগড় মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মো. এম দেলওয়ার হোসেন প্রধান বলেন, “বই পড়ার আনন্দ কিছুটা হলেও জাগ্রত হোক এবং তার চিন্তার সুফলতার মধ্য দিয়ে প্রকৃত মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ তৈরি হোক।”

ভাষা এবং জ্ঞান-চর্চায় দেশের সব এলাকায় পাঠাগার গড়ে তোলার সংস্কৃতির বিকাশ ঘটবে, এমনটাই প্রত্যাশা বিশিষ্টজনদের।  

এএইচ/