ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৭ ১৪৩১

শত বছরের পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষে মানুষের কঙ্কাল

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:২৭ পিএম, ৮ এপ্রিল ২০২২ শুক্রবার

ভৈরব নদ খননের চিত্র

ভৈরব নদ খননের চিত্র

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় ভৈরব নদ খননের সময় শত বছরের পুরনো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন এলাকা খননকালে এগুলো খুঁজে পান শ্রমিকরা।

খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড় দেখতে উৎসুক মানুষের ভিড় জমে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রিটিশ আমলে ভৈরব নদ দিয়ে ভারতবর্ষে বাণিজ্য করতে আসার সময় জাহাজটি কোনো এক সময় ডুবে যায়। 

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা আক্তার বলেন, ২০২১ সালের ১৯ ডিসেম্বর ভৈরব নদ খনন কাজের উদ্বোধন হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এদিন সকালে কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজ সংলগ্ন নীল কুঠির নিচে ড্রেজার মেশিন দিয়ে ভৈরব নদ খননের সময় ব্রিটিশদের পণ্যবাহী কয়েকশত বছরের পুরানো জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড়ের দেখতে পান শ্রমিকরা। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান ঠিকাদার।

কার্পাসডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ হামিদুল ইসলাম জানান, ভৈরব নদ দিয়ে কার্পাসডাঙ্গা থেকে কলকাতায় বাণিজ্য করতো ব্রিটিশরা। এখানে নীল কুঠি ছিল। সে সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা কোনো দুর্ঘটনায় ডুবে যেতে পারে জাহাজটি। এ জাহাজে মূল্যবান সম্পদ থাকতে পারে। মাটি খনন করলে হয়তো আরও মূল্যবান কিছু পাওয়া যেতে পারে।

কোমরপুর গ্রামের প্রবীণ ব্যক্তি আমির হোসেন জানান, আমার দাদা সাহেবদের কর্মচারী ছিলেন। আমার বাবার কাছে শুনেছি, এখানে ঝড়ে সাহেবদের একটি জাহাজ ডুবে গিয়েছিল। পরে জাহাজটি আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

জাহাজের ধ্বংসাবশেষ

কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস জানান, জাহাজটির মালামাল শত বছরেরও বেশি পুরনো বলে ধারণা করা হচ্ছে। আপাতত জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ও মানুষের হাড় উদ্ধার করে ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাছলিমা আক্তার বলেন, ভৈরব নদের মধ্যে পাওয়া ব্রিটিশদের এ মালামালের বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। তবে যেগুলো পাওয়া গেছে সাবধানতা অবলম্বন করে ও যত্ন করে রাখার ব্যবস্থা করা হবে।

এনএস//