অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি ইমরান খান
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০৮:৩২ এএম, ৯ এপ্রিল ২০২২ শনিবার
অনেকটাই নিশ্চিত পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পরাজয়। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী শনিবার (৯ এপ্রিল) পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ জাতীয় পরিষদে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হচ্ছেন তিনি। শুক্রবার জাতীয় পরিষদের জারি করা আলোচ্যসূচিতে উল্লেখ করা ৬টি বিষয়ের মধ্যে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। সরকার টিকিয়ে রাখতে হলে ইমরানের সমর্থন লাগবে ১৭২ জন সদস্যের। কিন্তু শরিকরা ত্যাগ করায় এবং তার দলের কয়েকজন আইনপ্রণেতা সরে যাওয়ায় ইমরান খানের প্রতি এখন ১৪২ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন রয়েছে।
তারপরও ইমরান খানের দিকে তাকিয়ে পুরো পাকিস্তান। শুক্রবার রাতে জাতির উদ্দেশ্যে ইমরান খানের ভাষণ দেওয়ার কথা ছিলো। শেষ পর্যন্ত তিনি পদত্যাগ করবেন নাকি অন্য কোনো উপায় অবলম্বন করবেন- সেদিকে তাকিয়ে সবাই। শুক্রবার তিনি মন্ত্রীপরিষদ এবং ক্ষমতাসীন পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের পার্লামেন্টারি কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ক্রিকেটীয় ভাষায় বলেছেন, শেষ বল পর্যন্ত তিনি খেলতে চান। পাকিস্তানের জন্য সব সময় লড়াই করবেন।
গত রবিবার অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইমরান খানের দল ওই প্রস্তাব আটকে দেয়। অনাস্থা প্রস্তাব বাতিল করে ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরি বলেন, “এই অনাস্থা প্রস্তাব পাকিস্তানের সংবিধানের ৫ অনুচ্ছেদের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ।” এরপর ইমরানের পরামর্শে পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
ডেপুটি স্পিকারের অনাস্থা প্রস্তাব বাতিলের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে বিষয়টি আমলে নেয়। এছাড়া বিরোধীরাও সরকারের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ দায়ের করে সুপ্রিম কোর্টে। বৃহস্পতিবার অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক বলে রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে জাতীয় পরিষদ ও সরকার পুনর্বহাল হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, শনিবার জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে। শনিবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে দশটায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন বসবে। এই ভোট শনিবারই হতে হবে, কোন কারণ দেখিয়ে এই অধিবেশন মুলতবি করা যাবে না। এ অবস্থায় অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতেই হচ্ছে ইমরানকে।
এসএ/