ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪,   অগ্রাহায়ণ ৮ ১৪৩১

চোখের যত্নে ৫ টোটকা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৫০ এএম, ৯ এপ্রিল ২০২২ শনিবার

কমপিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আমাদের চোখের ওপরও চাপ বাড়ছে। তাই এসব যন্ত্র যেমন ঠিকঠাকমত ব্যবহার করতে হবে, তেমনি নিয়মিত চোখের যত্ন না নিলে ঘটতে পারে বড় ধরনের বিপত্তি। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘ সময় ধরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে চোখের উপর চাপ পড়ার ফলে দেখা দিতে পারে মাথা যন্ত্রণা, অস্বচ্ছ দৃষ্টি, ঘাড়ের ব্যাথা, চোখের শুষ্কতা ও মনোযোগের ঘাটতির মতো সমস্যা। দেখা দিতে পারে স্নায়ুরোগ ও অনিদ্রার সমস্যাও। 

তবে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই নিজেরা কিছু টোটকা অনুসরণ করলে সমস্যা অনেকটা সামাল দেয়া যেতে পারে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, ইলেকট্রনিক ডিভাইসের পর্দা থেকে চোখের ব্যবধান হতে হবে অন্তত ২৫ ইঞ্চি। এর থেকে কম দূরত্বে চোখের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে। পাশাপাশি, চোখ থেকে পর্দা রাখতে হবে একটু নীচে।

চোখ ভালো রাখতেও করতে হবে চোখের ব্যায়াম। এই ক্ষেত্রে মেনে চলতে পারেন ২০-২০ নিয়ম। এই নিয়ম অনুসারে কুড়ি মিনিট একটানা পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকার পর অন্তত কুড়ি সেকেন্ড কুড়ি ফুট দূরত্বের কোনো বস্তুর দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে। পাশাপাশি, বারবার চোখের পলক ফেলাও জরুরি। 

সঠিক পর্দার ইলেকট্রনিক ডিভাইস বেছে নেওয়াটা জরুরি। অতিরিক্ত ছোট পর্দা ও অস্বাভাবিক আলো চোখের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি পর্দার হরফও বড় মাপের হওয়া উচিত। যথোপযুক্ত আলো রয়েছে এমন স্থানে রাখতে হবে কম্পিউটার বা ল্যাপটপ।

দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের পর্দায় একটানা তাকিয়ে থাকলে দেখা দিতে পারে ‘কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম’। কম্পিউটার বা ল্যাপটপের পর্দা যেহেতু দ্রুত পরিবর্তিত হয়, তাই বারবার কেন্দ্রিভূত করতে হয় দৃষ্টি। এতে চোখের পেশী ও স্নায়ুর উপর চাপ পড়ে। একভাবে পর্দার দিকে তাকিয়ে থাকলে কমে চোখের পলক পড়ার সংখ্যা। ফলে দ্রুত শুকিয়ে যায় চোখ। তাই নিয়মিত চোখে পানি দেওয়া ও নিয়মিত পানি পান করা অত্যন্ত জরুরি।

যারা নিয়মিত কম্পিউটার বা ল্যাপটপে কাজ করেন, তাদের নিয়মিত চোখ পরীক্ষা করাতে হবে। পাশাপাশি, এখন বিশেষ ধরনের চশমা পাওয়া যায় যা বৈদ্যুতিন পর্দা থেকে নির্গত ক্ষতিকর রশ্মি থেকে চোখকে রক্ষা করে। প্রয়োজনে পড়তে হবে নীল ও অতিবেগুনি রশ্মি প্রতিরোধক চশমা।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ/