নাটকীয়তায় পূর্ণ ইমরানের ভাগ্য নির্ধারণী অধিবেশন
একুশে টেলিভিশন
প্রকাশিত : ০২:৫১ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২২ শনিবার | আপডেট: ০২:৫৪ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২২ শনিবার
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পার্লামেন্ট পুনর্বহালের পর শনিবার আবারও অধিবেশ বসেছে। এই অধিবেশনেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণ করার কথা। তবে অধিবেশন শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মাথায় তা অল্প সময়ের জন্য মুলতবি ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তান সময় সাড়ে বারোটায় আবারও অধিবেশন বসার কথা থাকলেও তাতে বিলম্ব হচ্ছে। শিগগিরই আবার তা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছে ডন।
গত এক সপ্তাহে একের পর এক নাটকীয়তা দেখেছে পাকিস্তান। অবশেষে শনিবার ইমরানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় বারের মতো অনাস্থা প্রস্তাব উঠতে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ভেঙ্গে দেয়া পার্লামেন্ট আবারও পুনর্বহাল করা হয়েছে। ফলে গত ৩রা এপ্রিল যে অনাস্থা ভোট হওয়ার কথা ছিল তা শনিবার হচ্ছে।
ডন বলছে, অনাস্থা প্রস্তাবে ইমরানের বিরুদ্ধে পড়তে পারে ১৭৬ ভোট।
এটি হলে প্রধানমন্ত্রীত্ব হারাবেন ইমরান। অপরদিকে বিরোধীদের মধ্য থেকে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবে। যিনি দায়িত্ব পালন করবেন আগামি বছরের সাধারণ নির্বাচন পর্যন্ত।
দেশটির পার্লামেন্টে অনাস্থা প্রস্তাব আনার অধিবেশন নিয়ে এক কথায় নাটকীয়তা সৃষ্টি হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের রায়ে সর্বোচ্চ আদালত স্পষ্ট বলে দিয়েছিলেন, ভোটাভুটিতে কোনোভাবেই দেরি করা যাবে না। কিন্তু তারপরও নির্ধারিত সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে না আলোচিত এই ভোটগ্রহণ।
ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিষয়টি ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আজকের কর্মসূচির চার নম্বরে রয়েছে। অধিকাংশ আইনপ্রণেতাই উপস্থিত রয়েছেন পার্লামেন্টে।
৭ এপ্রিল ইমরান খানের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব বাতিল ও পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। একই সঙ্গে পার্লামেন্ট পুনর্বহালেরও নির্দেশ দেন বিচারপতিদের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ।
গত রোববার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা বিরোধী জোটের তরফে পেশ হওয়া অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে ভোটাভুটির কথা থাকলেও ডেপুটি স্পিকার কাসিম খান সুরি তা খারিজ করে দেন।
তিনি জানান, বিদেশি শক্তির প্ররোচনায় আনা এই অনাস্থা প্রস্তাব সংবিধানবিরোধী এবং তা দেশের কল্যাণের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই পাকিস্তানের সংবিধানের ৫ নম্বর ধারা মেনে এ নিয়ে কোনো ভোট করাতে পারবেন না তিনি।
এর পরেই ইমরান খানের সুপারিশে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে সেদিন রাতেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করেন বিরোধীরা।
এসএ/