বাড়ছে নদ-নদীর পানি, আগাম বন্যার আশংকা (ভিডিও)
প্রতিনিধিদের খবর
প্রকাশিত : ১১:৪০ এএম, ১০ এপ্রিল ২০২২ রবিবার
দিনদিন বেড়েই চলেছে সুনামগঞ্জের নদ-নদীর পানি। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় আগাম বন্যার আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এদিকে, যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধিতে রংপুর ও সিরাজগঞ্জে হাজার হাজার একর জমির ফসল তলিয়ে যাওয়ায় বিপাকে কৃষকরা।
সুনামগঞ্জের যাদুকাটা, পুরাতন সুরমা, কুশিয়ারা নদীর পানি কিছু পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করে আকস্মিক বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। ২০ এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কারণে আগাম বন্যারও আশংকা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
সুনামগঞ্জের ১১ উপজেলায় রয়েছে ফসল রক্ষা বাঁধ। তাই আগাম বন্যার খবরে বাঁধ মেরামতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন হাওরপাড়ের কৃষকরা। কারণ, আর পনের দিন পরেই ঘরে উঠবে সোনালী ফসল।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, “আগাম বন্যার খবরে আতঙ্ক বেড়েছে। ফসল রক্ষার জন্য বাঁধ মেরামত করছি।”
এদিকে গত ৭ দিনে কইয়ারবন, পুটিয়ার, কাংলা, নজরখালীবাধ, জালিয়া, চাপতির, চন্দ্রসোনারতাল, ডুবাইলসহ ১০টি বাঁধ ভেঙে তলিয়ে গেছে কয়েকটি হাওর। এছাড়া ছোট-বড় ১৩৭টি হাওর রয়েছে ঝুঁকিতে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনসুরুর রহমান বলেন, “আগামী ২০ তারিখের মধ্যে আবার প্রবল বর্ষণ হতে পারে। যার জন্য বাঁধগুলোর মেরামত কাজ চলছে।”
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার ১০টি গ্রামে তলিয়ে গেছে মিষ্টি কুমড়া, ধান, বাদাম ও সবজি ক্ষেত। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেলেও বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
কৃষকরা জানান, “ক্ষেতে আবার যে ফসল লাগব তার কোর উপায় নেই।”
এদিকে, সিরাজগঞ্জে যমুনায় হঠাৎ পানি বাড়ায় তলিয়ে গেছে চৌহালী, এনায়েতপুর, শাহজাদপুরের হাজার-হাজার একর জমির ফসল। দিশেহারা হয়ে পড়েছে এসব অঞ্চলের কৃষকরা।
এ অঞ্চলের কৃষকরা জানান, “এক রাতের মধ্যে পানি এসে চার-পাঁচশ’ বিঘা তলিয়ে গেল। সরকারের কাছে আবেদন যাতে আমাদের প্রতি যেন নজর দেয়।
এএইচ/