‘মুড়ির গ্রাম’ নামে পরিচিত যে গ্রামটি (ভিডিও)
নাটোর প্রতিনিধি
প্রকাশিত : ১২:৪৮ পিএম, ১০ এপ্রিল ২০২২ রবিবার
মুড়ি তৈরি ও বিক্রি করে জীবিকা চলে গ্রামের প্রায় সবারই। রাসায়নিক ও কেমিকেলমুক্ত ওই মুড়ির কদরও বেশি। রোজা এলে চাহিদা বাড়ে, বাড়ে উৎপাদনও। নাটোরের গোয়ালদিঘি কৃষ্ণপুর তাই এবারের রমজানেও সরগরম। ‘মুড়ির গ্রাম’ নামে পরিচিতি পায় গ্রামটি।
করোনায় গত দুবছর তেমন লাভ পাননি, এবারও ধানের দাম বেশি হওয়ায় কিছুটা বিপাকে মুড়ি উৎপাদকরা। তারপরও রমজানের বিকিকিনি দিয়ে আগের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ে মুড়ি তৈরিতে কোমর বেধে নেমেছেন কৃষ্ণপুরের নারী-পুরুষ।
মুড়ি কারিগররা জানান, “রমজান মাসে আমাদের ব্যবসা ভাল হয়। এই ব্যবসাটার আশায় আমরা থাকি। চালের দাম বেশি থাকার কারণে এবার ব্যবসাটা ভাল করতে পারছিনা। হাতে ভাজা এই মুড়িটা খেতে স্বাদের কারণে এর কদর বেশি।”
উৎপাদন ঘিরে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের পাশে গড়ে উঠেছে মুড়ির আড়ৎ। এখান থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যায় মুড়ি।
এক ব্যবসায়ী জানান, “প্রতিদিন এখান থেকে সারাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রায় ২শ’ মণ পর্যন্ত যায়।”
স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা পেলে ব্যবসার পরিধি বাড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন মুড়ি উৎপাদনকারীরা।
মুড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, “ধানের বাজার হিসাবে মুড়ির দাম এবার একটু বেশি। সাদা মুড়ি ৮০-৮৫ আর লাল মুড়ি ৯৫-১০০ টাকা ধরে বিক্রি হচ্ছে।”
আরেক ব্যবসায়ী জানান, “গত বছর করোনার কারণে কোন ব্যবসা হয়নি। বসে বসে ক্যাস টাকা ভেঙ্গে খেতে হয়েছে। সরকার ঋণ দিলে আমরা একটু ব্যবসা করে খেতে পারব।”
তাদের সহায়তা দিতে প্রস্তুত বিসিকও।
নাটোর বিসিকের উপ-ব্যবস্থাপক দিলরুবা দীপ্তি বলেন, “তারা যদি আমাদের কাছে কোন সহযোগিতার আসেন এবং বাণিজ্যিকভাবে যদি তারা করতে চান সেক্ষেত্রেও বিসিক অবশ্যই সহযোগিতা করবে।”
সুনাম পাওয়া এই মুড়ির উৎপাদন, বাজারজাত ও রপ্তানি বাড়িয়ে এই অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করতে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।
এএইচ/